ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁচাবাজারে লাগামহীন দাম

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / 41

কাঁচাবাজারে লাগামহীন দাম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজি ৮০ টাকায় পৌঁছেছে৷ টানা বৃষ্টির কারণে সবজির বাজারে চড়া দাম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা৷

সব মিলিয়ে বাজারে ভোক্তাদের জন্য কোনো সুখবর নেই বললেই চলে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, আগে কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ টাকা।

ছোট আকারের বাঁধাকপি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মুলা ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শিম পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।

সবজির দামের এই চড়া মূল্যে বিরক্ত ক্রেতারা। রঙমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করা মো. রুপেস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার একদিনের হাজিরা আটশ টাকা। মাসে ১৫ দিনও কাজ থাকে না। এরমধ্যে সব কিছুর এত দাম বাড়লে ক্যামনে চলি?’

একই আক্ষেপ রিকশাচালক রেজাউল করিমের। তিনি বলেন, ‘মাংস তো ভাই খাই না। ওত টাকা নাই। সবজিও তো মনে হয় খাইতে দেবেন না।’

ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, আগে এর কেজি ছিল ১২০ টাকা। করলার কেজি ৮০-৯০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৪০, মুলা ৫০ টাকা, বরবটি ১০০ ও ধুন্দুল ৭০-৮০ টাকা কেজি।

রামপুরা বাজারের সবজিবিক্রেতা মো. মালেক বলেন, বাজারে সবজির দাম বাড়তি। বৃষ্টির কারণে বাজারের সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

মালিবাগ বাজারের মুরগিবিক্রেতা মো. রুহুল বলেন, মুরগির দাম বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির।

ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, ২ দিন আগেও কেজি ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়, আগে কেজি ছিল ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৪০ টাকা।

বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০৫০ টাকায়।

বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেনি। শুক্রবার ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০ টাকা।

ডিমবিক্রেতা মো. রমজান বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে প্রতি হাজার ডিমে দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৯৫-১০০ টাকা।

সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকা। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

কাঁচাবাজারে লাগামহীন দাম

আপডেট টাইম : ০১:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

রাজধানীতে এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজি ৮০ টাকায় পৌঁছেছে৷ টানা বৃষ্টির কারণে সবজির বাজারে চড়া দাম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা৷

সব মিলিয়ে বাজারে ভোক্তাদের জন্য কোনো সুখবর নেই বললেই চলে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, আগে কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ টাকা।

ছোট আকারের বাঁধাকপি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মুলা ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শিম পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।

সবজির দামের এই চড়া মূল্যে বিরক্ত ক্রেতারা। রঙমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করা মো. রুপেস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার একদিনের হাজিরা আটশ টাকা। মাসে ১৫ দিনও কাজ থাকে না। এরমধ্যে সব কিছুর এত দাম বাড়লে ক্যামনে চলি?’

একই আক্ষেপ রিকশাচালক রেজাউল করিমের। তিনি বলেন, ‘মাংস তো ভাই খাই না। ওত টাকা নাই। সবজিও তো মনে হয় খাইতে দেবেন না।’

ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, আগে এর কেজি ছিল ১২০ টাকা। করলার কেজি ৮০-৯০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৪০, মুলা ৫০ টাকা, বরবটি ১০০ ও ধুন্দুল ৭০-৮০ টাকা কেজি।

রামপুরা বাজারের সবজিবিক্রেতা মো. মালেক বলেন, বাজারে সবজির দাম বাড়তি। বৃষ্টির কারণে বাজারের সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

মালিবাগ বাজারের মুরগিবিক্রেতা মো. রুহুল বলেন, মুরগির দাম বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির।

ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, ২ দিন আগেও কেজি ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়, আগে কেজি ছিল ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৪০ টাকা।

বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০৫০ টাকায়।

বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেনি। শুক্রবার ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০ টাকা।

ডিমবিক্রেতা মো. রমজান বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে প্রতি হাজার ডিমে দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৯৫-১০০ টাকা।

সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকা। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।

নিউজ লাইট ৭১