মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার পদ থেকে সরানোর জন্য মামলা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে
- আপডেট টাইম : ১০:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২০
- / 116
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার পদ থেকে সরানোর জন্য মামলা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ভারাকি নামে এক সাংবাদিক শীর্ষ আদালতে এই আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করার জন্য, সুপ্রিম কোর্ট যাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নির্দেশ দেয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গোড়া থেকেই সোচ্চার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯ ডিসেম্বর এক জনসভায় বলেন, বিজেপির যদি সাহস থাকে তাহলে রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরদারিতে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গণভোট করে দেখাক। এই ভোটে বিজেপি হেরে গেলে তাহলে তাদের সরকার থেকে সরে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে মমতা আরো বলেছিলেন, আপনাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলেই যা খুশি করতে পারেন না। সবাইকে আপনারা ভয় দেখিয়ে রেখেছেন। মমতার এই বক্তব্য ভারতীয় সংবিধানের বিরোধী বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক ভারাকি। তার আবেদনে বলা হয়েছে মমতার এই বক্তব্যেই স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দেশের অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন না। যে শপথ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন, এই বক্তব্যের ফলে সেই শপথ বাক্য তিনি খণ্ডন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন নতুন বছরের শুরুতেই হতে চলেছে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ১১ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান দিল্লি বিধানসভার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, ১৪ জানুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ জানুয়ারি। মনোনয়ন স্ক্রুটিনি হবে ২২ জানুয়ারি। ২৪ জানুয়ারির মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনারের সাংবাদিক বৈঠকের পরই টুইট করেছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বলেছেন, এবারের নির্বাচন, কাজের ভিত্তিতে হবে। পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর জানিয়েছেন, তারা আশাবাদী, দিল্লির ভোটাররা ভারতীয় জনতা পার্টিকেই ভোট দেবেন। ২০১৫ বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ আসনের মধ্যে ৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। ৩টি আসন পেয়েছিল বিজেপি, একটিও আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস।
অন্যদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিবলবৎ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝাচ্ছে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং আম আদমি পার্টি, অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিএএ আইনে কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব কাড়া হবে না। এই আইন নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য। অমিত শাহ সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল সিএএ এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, তারই দায়বদ্ধ থাকবে দেশে যদি কোনো সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে তার জন্য। দিল্লিতে সাইকেল ওয়াক অনুষ্ঠানে জেএনইউ নিয়ে একটি কথাও বলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তবে ফের একবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এক হাত নিয়েছেন অমিত শাহ। বলেন, দিল্লিতে একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্প আটকে দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। যাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাজধানীর গরিব মানুষ। আয়ুশমান ভারত প্রকল্প রাজধানীতে শুরু না করায় গরিব মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর জবাব এরই মধ্যে দিল্লির মানুষ পুনর্নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনে দিয়েছে। এরপরই তিনি অভিযোগ করেছেন, দিল্লিতে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার জন্য পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। কারণ কেজরিওয়াল সরকার তাদের বাধা দিয়েছে।