আওয়ামী লীগের সমাবেশ: ১ লাখ মানুষ জমায়েতের লক্ষ্য
- আপডেট টাইম : ০৩:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
- / 23
সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বুধবার শান্তি সমাবেশ ডেকেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ বুধবার সমাবেশ করছে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ ডেকেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ। এ জন্য আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে ৫০ হাজার করে মানুষ আনার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করে দিয়েছেন ।
বড় জমায়েতের প্রস্তুতি রয়েছে আওয়ামী লীগের। তাদের সমাবেশ হবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে। এদিন এক লাখ মানুষের জমায়েত করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি সভা করেছে। বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানায়, সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের বুধবারের সমাবেশে বেশি করে জমায়েত নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া এখন থেকে স্বল্প সময়ের নির্দেশে জমায়েত করার মতো প্রস্তুতি রাখার জন্য ঢাকায় আওয়ামী লীগের সব ইউনিটের নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, দুই মহানগরের যৌথ সমাবেশে সহযোগী সংগঠনগুলোকেও অংশ নিতে বলা হয়েছে। দেখা গেছে, গত ডিসেম্বর থেকে বিএনপির কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচিগুলো ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আলাদাভাবে আয়োজন করে। কিন্তু এবার একসাথে সমাবেশের ডাক দেয়া হয়।
বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে। আর আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ডেকেছে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে। কাছাকাছি সময়ে দুটি সমাবেশ হবে। বিএনপির সমাবেশ দুপুর দুইটায়। আর আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে বেলা তিনটায়।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই দলই এখন তৎপর হয়ে উঠছে বলে রাজনিতিক বিশ্লেকরা মনে করছেন। এসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি তাদের রাজনৈতিক শক্তি জনগণের কাছে ফুটিয়ে তুলছে। তবে আগামীকালের সমাবেশে দুই দলের অনেকটা মুখোমুখি অবস্থান চ্যালেজঞ্জিং পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটাচ্ছে। প্রায় একই সময়ে দুটি সমাবেশ শান্তিপূর্ণ রাখাও ভাবনার বিষয়। নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজপথে তাদের শক্তি প্রদর্শনই উদ্দেশ্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ১৫ দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থান করছে। ২৩ জুলাই পর্যন্ত তারা সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবে।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়াসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলও আসছে। সফররত বিদেশি দলগুলোকে গুরুত্ব দিয়েই আওয়ামী লীগ রাজপথে সক্রিয় থাকছে বলেও রাজনীতিকরা মনে করছেন। রাজনীতিতে এখন একধরনের মনস্তাত্ত্বিক গেম চলছে। এতে আওয়ামী লীগ নিজেদের এগিয়ে রাখতে চায়। এ জন্যই আওয়ামী লীগ সরকারে থেকেও বিরোধী দলের মতো রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মহানগরের সব স্তরের এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়ে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়া হবে। মঙ্গলবার কাওরানবাজারের টিসিবি ভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি সভা ডেকেছে। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল থাকছেন।
আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম রাজপথের কর্মসূচি নিয়ে জানান, এসব কর্মসূচি আগে থেকেই নেয়া ছিল। আর নির্বাচনের বছর জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দল বড় ধরনের জমায়েত করবে এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। আরও বক্তব্য রাখবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা।
নিউজ লাইট ৭১