ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরে চাহিদার দ্বিগুণ পশু প্রস্তুত

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
  • / 38

বিক্রির জন্য প্রস্তুত কুরবানির পশু (ছবি : নিউজ লাইট ৭১)

নাটোরে এবারের পবিত্র ইদুল আযহায় চাহিদার দ্বিগুণ কুরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। হাট বাজার ছাড়াও বাড়ি এবং খামার থেকেই বিক্রি হচ্ছে এসব গরু ছাগল। বড় হাটগুলোতে চলছে ক্যাশলেস লেনদেন। জেলার গুরুদাসপুরের একটি খামারে বিক্রির জন্য ৯টি দুম্বাও রয়েছে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের কুরবানির ইদে জেলায় মোট পশুর চাহিদা রয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার দুইটি পশুর। অপর দিকে জেলার ১৮ হাজার ১৫০টি ছোট বড় খামার ছাড়াও পারিবারিকভাবে লালন পালন করা হয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার ২৩৮টি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। জেলায় চাহিদার উদ্বৃত্ত বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে দুই লাখ ৬৯ হাজার ২৩৬টি পশু।

জেলায় খামারি, ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলেছেন, এবার নাটোরে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। নাটোরের বড় হরিশপুর এলাকার মনোয়ারা এগ্রো ফার্মের মালিক ব্যবসায়ী ইমরাত হোসেন খোকন পাঁচ বছর থেকে তার খামারে গরু পালন করেন। এখনো তার খামারে ৫৫টি বড় ষাঁড় গরু রয়েছে। নিজের খামারে রেখেই তিনি সব গরু বিক্রি করেন। এক বছর আগে কেনা এসব গরু কুরবানির জন্য তিনি বড় করেছেন।

ইমরাত হোসেন খোকন বলেন, গোখাদ্য ও শ্রমিকের মজুরী যে হারে বেড়েছে তাতে গত বছরের তুলনায় গরুর দাম ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। তার মতে গরুর দাম সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। তাই তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। চলতি বছরে তার ৫৫টি দেশীয় বড় ষাঁড় গরু বিক্রি হয়ে গেলে তিনি তার গরুর খামার বন্ধ করে দিবেন। ইতোমধ্যে তিনি ১৫টি গরু বিক্রি করেছেন। বড় তিনটি সাড়ে তিন লাখ টাকা করে এবং ছোট থেকে মাঝারি ১২টি গরু দেড় থেকে দুই লাখ টাকা করে বিক্রি করেছেন বলে জানান।

নাটোর সদরের হয়বতপুরের আমিরুল ইসলাম কালা পাহাড় নামে একটি বড় ষাঁড় পালন করেছেন। কালা পাহাড়ের ওজন ৪০ মণ। আমিরুল দাম চান ২৫ লাখ টাকা। অথচ এখনো তেমন কোনো গ্রাহকের দেখা মিলেনি কালা পাহাড়ের জন্য।

নাটোরের অন্যতম বড় গরুর খামার সদরের রেকাত আলী বলেছেন, পশুর খাবার থেকে শুরু করে শ্রমিক ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেড়ে যাওয়া গরু ছাগলের দামও এবার কিছুটা বেড়ে গেছে।

জেলার বড়াইগ্রামের কলেজ শিক্ষক হামিদুল হক বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরু ছাগলের দাম কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ ভাগ বেড়ে গেছে।

নাটোর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, জেলার বড় হাটগুলোতে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটে কোনো নগদ লেনদেন না করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের ব্যাংক একাউন্ট থাকলে মোবাইল ফোন দিয়ে কিউআর কোডের মাধ্যমে তাদের একাউন্টে টাকা লেনদেন করা হচ্ছে।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

নাটোরে চাহিদার দ্বিগুণ পশু প্রস্তুত

আপডেট টাইম : ০৪:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

নাটোরে এবারের পবিত্র ইদুল আযহায় চাহিদার দ্বিগুণ কুরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। হাট বাজার ছাড়াও বাড়ি এবং খামার থেকেই বিক্রি হচ্ছে এসব গরু ছাগল। বড় হাটগুলোতে চলছে ক্যাশলেস লেনদেন। জেলার গুরুদাসপুরের একটি খামারে বিক্রির জন্য ৯টি দুম্বাও রয়েছে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের কুরবানির ইদে জেলায় মোট পশুর চাহিদা রয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার দুইটি পশুর। অপর দিকে জেলার ১৮ হাজার ১৫০টি ছোট বড় খামার ছাড়াও পারিবারিকভাবে লালন পালন করা হয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার ২৩৮টি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। জেলায় চাহিদার উদ্বৃত্ত বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে দুই লাখ ৬৯ হাজার ২৩৬টি পশু।

জেলায় খামারি, ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলেছেন, এবার নাটোরে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। নাটোরের বড় হরিশপুর এলাকার মনোয়ারা এগ্রো ফার্মের মালিক ব্যবসায়ী ইমরাত হোসেন খোকন পাঁচ বছর থেকে তার খামারে গরু পালন করেন। এখনো তার খামারে ৫৫টি বড় ষাঁড় গরু রয়েছে। নিজের খামারে রেখেই তিনি সব গরু বিক্রি করেন। এক বছর আগে কেনা এসব গরু কুরবানির জন্য তিনি বড় করেছেন।

ইমরাত হোসেন খোকন বলেন, গোখাদ্য ও শ্রমিকের মজুরী যে হারে বেড়েছে তাতে গত বছরের তুলনায় গরুর দাম ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। তার মতে গরুর দাম সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। তাই তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। চলতি বছরে তার ৫৫টি দেশীয় বড় ষাঁড় গরু বিক্রি হয়ে গেলে তিনি তার গরুর খামার বন্ধ করে দিবেন। ইতোমধ্যে তিনি ১৫টি গরু বিক্রি করেছেন। বড় তিনটি সাড়ে তিন লাখ টাকা করে এবং ছোট থেকে মাঝারি ১২টি গরু দেড় থেকে দুই লাখ টাকা করে বিক্রি করেছেন বলে জানান।

নাটোর সদরের হয়বতপুরের আমিরুল ইসলাম কালা পাহাড় নামে একটি বড় ষাঁড় পালন করেছেন। কালা পাহাড়ের ওজন ৪০ মণ। আমিরুল দাম চান ২৫ লাখ টাকা। অথচ এখনো তেমন কোনো গ্রাহকের দেখা মিলেনি কালা পাহাড়ের জন্য।

নাটোরের অন্যতম বড় গরুর খামার সদরের রেকাত আলী বলেছেন, পশুর খাবার থেকে শুরু করে শ্রমিক ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেড়ে যাওয়া গরু ছাগলের দামও এবার কিছুটা বেড়ে গেছে।

জেলার বড়াইগ্রামের কলেজ শিক্ষক হামিদুল হক বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরু ছাগলের দাম কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ ভাগ বেড়ে গেছে।

নাটোর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, জেলার বড় হাটগুলোতে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটে কোনো নগদ লেনদেন না করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের ব্যাংক একাউন্ট থাকলে মোবাইল ফোন দিয়ে কিউআর কোডের মাধ্যমে তাদের একাউন্টে টাকা লেনদেন করা হচ্ছে।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button