ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে টানা নবম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 91

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে টানা নবম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের মধ্য দিয়ে টানা নবম বারের মতো সভাপতি পদে দায়িত্ব পান তিনি। শেখ হাসিনা গত ৩৮ বছর ধরে দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

তথ্যমতে, ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও সম্মেলনে তার অনুপস্থিতিতেই তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

এরপর ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে চতুর্দশ, ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে পঞ্চদশ, ১৯৯৭ সালের মে মাসে ষোড়শ, ২০০২ সালের ডিসেম্বরে সপ্তদশ, ২০০৯ সালের জুলাইয়ে অষ্টাদশ, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ঊনিবিংশ, ২০১৬ সালে বিংশতম ও সর্বশেষ গতকাল অনুষ্ঠিত ২১তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ১৯৮১ সালের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ চার বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেছে।

তবে বেশ কবার দলীয় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পদ ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ‘বিকল্প নেই’ বলে ২১তম জাতীয় সম্মেলনেও তাকেই সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

৯ম বারের মতো সভাপতি হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাচ্ছিলাম, আমাকে একটু ছুটি দেবেন। আপনাদের ভাবতে হবে আমার বয়স হয়ে গেছে। আমার বয়স এখন ৭৩।

এবারো আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সে দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ছয় বছর বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে দলের হাল ধরার কথা স্মরণ করে

গতকাল কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করা, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা, বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে একটা মর্যাদা এনে দেওয়া— এটাই ছিলো জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। আমার একটাই লক্ষ্য— তার সেই স্বপ্ন পূরণ করবো।

ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যেন অন্তত আমার বাবা-মায়ের আত্মাটা শান্তি পায়। আর লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের যে স্বাধীনতা, সেটা যেন বৃথা না যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান দুই বোন হাসিনা ও রেহানা।

পরের ছয় বছর লন্ডন ও দিল্লিতে তাদের নির্বাসিত জীবন কাটে। ১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি। পাঁচ বছরের মাথায় সামরিক শাসক এইচএম এরশাদের সময়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বসেন বিরোধী দলীয় নেতার আসনে।

তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে মিলে একনায়ক এরশাদ সরকারের পতন ঘটান। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গিয়ে আবার বিরোধী দল হয়।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তার সেই সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির কথা বলা হয়।

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে তৃতীয়বারের মতো বিরোধী দলীয় নেত্রী হন শেখ হাসিনা।

ওই সরকারের সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেডহামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তবে সেই হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর আরও অনেক রাজনীতিবিদের মতো শেখ হাসিনাও গ্রেপ্তার হন।

দুবছরের মাথায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। দ্বি

তীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচন বিএনপি ও তার শরীক দল বয়কট করলে ২৩১টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ।

সর্বশেষ গত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও নিরষ্কুশ বিজয় অর্জন করে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়েদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের দীর্ঘ এই সময়ে বিশ্বের নারী নেত্রীদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশিদিন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কাতারে শেখ হাসিনার অবস্থান মেয়াদের দিক দিয়ে তৃতীয়।

Tag :

শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে টানা নবম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে টানা নবম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের মধ্য দিয়ে টানা নবম বারের মতো সভাপতি পদে দায়িত্ব পান তিনি। শেখ হাসিনা গত ৩৮ বছর ধরে দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

তথ্যমতে, ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও সম্মেলনে তার অনুপস্থিতিতেই তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

এরপর ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে চতুর্দশ, ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে পঞ্চদশ, ১৯৯৭ সালের মে মাসে ষোড়শ, ২০০২ সালের ডিসেম্বরে সপ্তদশ, ২০০৯ সালের জুলাইয়ে অষ্টাদশ, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ঊনিবিংশ, ২০১৬ সালে বিংশতম ও সর্বশেষ গতকাল অনুষ্ঠিত ২১তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ১৯৮১ সালের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ চার বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেছে।

তবে বেশ কবার দলীয় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পদ ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ‘বিকল্প নেই’ বলে ২১তম জাতীয় সম্মেলনেও তাকেই সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

৯ম বারের মতো সভাপতি হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাচ্ছিলাম, আমাকে একটু ছুটি দেবেন। আপনাদের ভাবতে হবে আমার বয়স হয়ে গেছে। আমার বয়স এখন ৭৩।

এবারো আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সে দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ছয় বছর বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে দলের হাল ধরার কথা স্মরণ করে

গতকাল কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করা, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা, বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে একটা মর্যাদা এনে দেওয়া— এটাই ছিলো জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। আমার একটাই লক্ষ্য— তার সেই স্বপ্ন পূরণ করবো।

ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যেন অন্তত আমার বাবা-মায়ের আত্মাটা শান্তি পায়। আর লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের যে স্বাধীনতা, সেটা যেন বৃথা না যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান দুই বোন হাসিনা ও রেহানা।

পরের ছয় বছর লন্ডন ও দিল্লিতে তাদের নির্বাসিত জীবন কাটে। ১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি। পাঁচ বছরের মাথায় সামরিক শাসক এইচএম এরশাদের সময়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বসেন বিরোধী দলীয় নেতার আসনে।

তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে মিলে একনায়ক এরশাদ সরকারের পতন ঘটান। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গিয়ে আবার বিরোধী দল হয়।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তার সেই সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির কথা বলা হয়।

২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে তৃতীয়বারের মতো বিরোধী দলীয় নেত্রী হন শেখ হাসিনা।

ওই সরকারের সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেডহামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তবে সেই হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর আরও অনেক রাজনীতিবিদের মতো শেখ হাসিনাও গ্রেপ্তার হন।

দুবছরের মাথায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। দ্বি

তীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচন বিএনপি ও তার শরীক দল বয়কট করলে ২৩১টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ।

সর্বশেষ গত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও নিরষ্কুশ বিজয় অর্জন করে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়েদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের দীর্ঘ এই সময়ে বিশ্বের নারী নেত্রীদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশিদিন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কাতারে শেখ হাসিনার অবস্থান মেয়াদের দিক দিয়ে তৃতীয়।