- আপডেট টাইম : ০৫:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
- / 25
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শীতের আগমনে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ তোশক কারিগরদের। কমলগঞ্জে চলতি মাসের শুরু থেকেই শীতের শিশির পড়তে শুরু করেছে, তা শীত মৌসুমের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। এজন্য লেপ-তোশকের প্রয়োজন বেড়েছে। বিভিন্ন বাজার সহ গ্রামে-গঞ্জের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ও পুরাতন লেপ-তোশক মেরামত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কারিগররা।
কমলগঞ্জের ভানুগাছ, শমসেরনগর, মুন্সিবাজার, আদমপুর বাজারের লেপ তোশকের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, গত এক বছরে লেপ তোশক তৈরির সবধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে কাপড় ও তুলার দাম অনেক বেড়েছে। সেই তুলনায় লেপ তোশকের দাম তেমন বাড়েনি। সারাবছর বেচে কেনা কম হলেও শীত মৌসুমে তাদের ব্যবসা ভালো হয়। তবে আক্ষেপের সুরে তারা জানান, বর্তমান সময়ে ক্রেতারা অতি সহজে বাজার থেকে শীতের কম্বল ক্রয় করতে পারেন এ জন্য লেপের চাহিদা আস্তে আস্তে কমে আসছে। তুলনামূলকভাবে নতুন করে লেপ খুবই কম তৈরি হচ্ছে, পুরাতন লেপ মেরামতের কাজই বেশি। তবে তোশক আগের মতোই তৈরি হচ্ছে। ছোট কাজে ২০০ থেকে ৩০০ আর মাজারি কাজে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ হয় বলে জানা যায়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লেপ-তোশকের কারিগররা বাজারের দোকানের পাশাপাশি গ্রামের বাড়িবাড়ি গিয়ে লেপ-তোশক তৈরি করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গত কিছুদিন ধরে। রেডিমেড লেপ তোশক তৈরির পাশাপাশি ক্রেতাদের পছন্দ মতো কাজ করছেন তাঁরা। শীত মৌসুমে বছরের সবচেয়ে বেশি লেপ তোশক বিক্রি হয় বলে জানা যায়।
ভানুগাছ বাজারের ক্রেতা আলম মিয়া জানান, আমার পরিবার বড়ো, শীতের আগেই নতুন দুটি লেপ ও একটি তোশক মেরামত করলাম। ২ হাজার টাকার মধ্যে কাজ করিয়েছি। গত বছরের তুলনায় এবছর কাপর ও তুলার অনেক দাম বেড়েছে।
শমশেরনগর বাজারের লেপ তোশকের ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া ও চাঁন মিয়া বলেন, এ উপজেলায় আমাদের ২টি দোকান আছে, আমাদের এখানে ৮ থেকে ১০ জন কারিগর কাজ করেন। প্রতিদিন আমাদের একটি টিম বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লেপ তোশক তৈরি করেন। গ্রামের অনেক মানুষ পুরাতন লেপ তোশককে মেরামত করান। আমাদের সারাবছর দোকান খুলে বসে থাকতে হয়, এই কয়েকমাসই আমাদের ব্যবসা মৌসুম।
নিউজ লাইট ৭১