নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
- আপডেট টাইম : ০১:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 142
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে অনুষ্ঠানস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ পুরো রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। মাঠে টহল দিচ্ছেন র্যাব সদস্যরা। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাব। কয়েকদিন ধরে সক্রিয় রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যরাও।
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি রায়ট কার, এপিসি কার, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও কে নাইনের গাড়ি প্রস্তুত।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশেপাশের নিরাপত্তা জোরদার ও সম্মেলনে আসা অতিথিদের আগমন নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এর অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের এলাকার সড়কসমূহে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। এসব রুটে চলাচলকারী গাড়িসমূহকে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
নিরাপত্তা রক্ষায় রাজধানীর শাহবাগেও রয়েছে পুলিশের প্রস্তুতি। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি এপিসি কার, রায়ট কার মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সম্মেলন আজকের এই জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা এসে যোগ দেবেন। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ভিড়ে কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে, বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, কুচিন্তা করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
সাদা পোশাকের পুলিশও কাজ করছে বলে জানান সাজ্জাদুর রহমান। তিনি বলেন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীর মৎস্য ভবন, কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট মাজার গেট এলাকা, দোয়েল চত্বর এলাকা, টিএসসি এলাকা, নীলক্ষেত, পলাশী, শাহবাগ, পরীবাগ, হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল মোড় ও কাঁটাবন এলাকাতে পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন রাখা হয়েছে। একইসাথে রায়ট কার ও এপিসি কারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সফল করতে পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা পুলিশ সদস্য ছাড়াও রিজার্ভ পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও সাদা পোশাকে সম্মেলনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এর বাইরে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটও সজাগ রয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করবে, যাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করতে না পারে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃঞ্চ পদ রায় বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সফলভাবে শেষ হতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
জাতীয় সম্মেলন ঘিরে র্যাবের পক্ষ থেকেও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, সম্মেলন ঘিরে র্যাব সদস্যরা মাঠে রয়েছে। বিশেষ করে র্যাবের টহল টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব পুরোপুরি প্রস্তুত।