ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
  • / 27

জেলে নৌকা (ছবি : নিউজ লাইট ৭১)

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ২৮ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।

নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ, বাজারজাত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা যাতে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য নদীতে অভিযান পরিচালিত হবে।

এ দিকে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়বেন উপকূলের দুই লক্ষাধিক জেলে। এতে চরম অভাব-অনাটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছেন তারা। যদিও জেলে পুনর্বাসনের জন্য নিষেধাজ্ঞা সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। সরকারের বরাদ্দকৃত চাল যথা সময়ে পৌঁছানোর দাবি জেলেদের।

ভোলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন বলেন, এখন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। তাই মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলবে। ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। তবে এ সময়টায় নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

জেলেরা জানান, এ বছরই মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর ভরা মৌসুমেও ইলিশ পাইনি জেলেরা। যে মুহূর্তে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে তখনি নিষেধাজ্ঞা চলে আসায় সংকটে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা।

তুলাতলী ঘাটের জেলে সিরাজ, মফিজল ও সোলাইমান বলেন, এ মৌসুমটা ইলিশ ছিল না, দুই দফা নিষেধাজ্ঞার পরেও নদীতে মাছ পড়েনি। অনেক জেলেই দেনায় জর্জরিত। যখন মাছ ধরতে শুরু করলো তখন চলে এসেছে নিষেধাজ্ঞা।

আড়ৎদার মো. আজাদ বলেন, এ মৌসুমে জেলে আড়ৎদার সবাই লোকসানে কাটিয়েছে। অভিযান চলে আসায় জেলেরা আরও বেশি বিপাকে পড়েছেন। তাই জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল যথা সময়ে বিতরণের দাবি জানাই।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ২৮ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।

নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ, বাজারজাত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা যাতে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য নদীতে অভিযান পরিচালিত হবে।

এ দিকে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়বেন উপকূলের দুই লক্ষাধিক জেলে। এতে চরম অভাব-অনাটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছেন তারা। যদিও জেলে পুনর্বাসনের জন্য নিষেধাজ্ঞা সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। সরকারের বরাদ্দকৃত চাল যথা সময়ে পৌঁছানোর দাবি জেলেদের।

ভোলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন বলেন, এখন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। তাই মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলবে। ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। তবে এ সময়টায় নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

জেলেরা জানান, এ বছরই মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর ভরা মৌসুমেও ইলিশ পাইনি জেলেরা। যে মুহূর্তে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে তখনি নিষেধাজ্ঞা চলে আসায় সংকটে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা।

তুলাতলী ঘাটের জেলে সিরাজ, মফিজল ও সোলাইমান বলেন, এ মৌসুমটা ইলিশ ছিল না, দুই দফা নিষেধাজ্ঞার পরেও নদীতে মাছ পড়েনি। অনেক জেলেই দেনায় জর্জরিত। যখন মাছ ধরতে শুরু করলো তখন চলে এসেছে নিষেধাজ্ঞা।

আড়ৎদার মো. আজাদ বলেন, এ মৌসুমে জেলে আড়ৎদার সবাই লোকসানে কাটিয়েছে। অভিযান চলে আসায় জেলেরা আরও বেশি বিপাকে পড়েছেন। তাই জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল যথা সময়ে বিতরণের দাবি জানাই।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button