বিতরণে চলছে অনিয়ম
- আপডেট টাইম : ০৬:১৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / 35
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে টিসিবির ডিলার বিশ্বনাথ সাহা নামে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের উদয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, আমজানখোর ইউনিয়নে এক হাজার ৬০০ জন ব্যক্তিকে টিসিবির পণ্য বিতরণের কথা থাকলেও সেখানে টিসিবির পণ্য ৪০০-৫০০ জনকে বিতরণ করতে দেখা গেছে। টিসিবির পণ্য অনিয়মের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমজানখোর ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে দুইটি ভিডিয়ো পোস্ট দেন।
উক্ত ইউপি সদস্য টিসিবির পণ্য বিতরণের স্থানে ডিলার বিশ্বনাথ সাহার নিকট চালান রশিদ দেখতে চাইলে সে কোনো রকম চালানের রশিদ দেখাতে পারেনি। অনেক ভুক্তভোগী স্লিপ নিয়ে গেলেও তারা টিসিবি পণ্য পাননি এবং হয়রানির শিকার হয়েছেন।
টিসিবি পণ্যের একটি প্যাকেজের মূল্য ৪০৫ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি।
টিসিবির পণ্য নিতে আসা আতাবুর রহমান রহমান বলেন, আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান তালিকা দেখে আমাকে একটি স্লিপ দিয়েছে কিন্তু এখানে আসে আমাকে পণ্য দিচ্ছে না ডিলার ও তার লোকজনরা। তারা বলছে তালিকায় আপনার কোনো নাম নেই।
টিসিবির পণ্য নিতে আসা আলিম বলেন, এর আগে আমরা টিসিবির পণ্য পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার এসে দেখি আমাদের নাম নেই তালিকায়।
ভুক্তভোগী জরিনা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান একটি স্লিপ দিলেও তা দেখে পণ্য দিচ্ছে না ডিলার ও তার লোকজনরা।
আমজানখোর ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, আমজানখোর ইউনিয়নে মোট এক হাজার ছয়শটি টিসিবির প্যাকেজের বরাদ্দ রয়েছে। তবে ডিলার বিশ্বনাথ সাহা ৩০০-৪০০টি প্যাকেজ নিয়ে আসে আমাদের বলে এক হাজার ছয়শ জনকে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে। আমি ও ইউনিয়নের আরও ইউপি সদস্যরা তার কাছে মাল ডেলিভারির রশিদ দেখতে চাইলে তিনি নানা রকমের কথা বলে এড়িয়ে যান। টিসিবির পণ্য বিতরণ নিয়ে আমাদের কোনো রকমের অবহিত করেননি।
এ বিষয়ে টিসিবির ডিলার বিশ্বনাথ সাহা বলেন, তালিকাভুক্ত এক হাজার ছয়শ জনকেই টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে। যাদের নামের তালিকায় নেই তাদের পণ্য দেওয়া হয়নি। তালিকাভুক্ত যারা টিসিবির পণ্য পাবে না তারা আমার দোকান থেকেও পণ্য নিতে পারবেন।
কতগুলো পণ্য নিয়ে আসছেন? জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো চালান রশিদ দেখাতে পারেননি। আরও বলেন, চালানের রশিদ দোকানে আছে। পরে দোকানে গেলে ডিলার চালান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিভাবে টিসিবি পণ্য বিতরণে তদারকিতে কে আছে? তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। বলেন- টিসিবি পণ্য বিতরণে সবকিছু ইউএনও মহোদয় জানেন। উনার কাছে আপনারা জেনে নিয়েন। আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকালু ডংগা বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণের জন্য আমাকে কোনো প্রকারের দায়িত্ব দেয়নি তাই আমি সেখানে যাইনি। আর আমি যাদের স্লিপ দিয়েছি তাদের নাম তালিকায় দেখে দিয়েছি। এখন তাদের কেন টিসিবির পণ্য দিচ্ছে না তা আমি জানি না।
তালিকা কীভাবে করা হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, কীভাবে তালিকা হয়ে তা আমি ও আমার ইউপি সদস্যকে অবগত করা হয়নি।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোবায়ের হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য ডিলারের কাছে শুধু তালিকা দেখতে চেয়েছিল এ বিষয়ে শুনেছি। এছাড়া অনিয়মের কোনো খবর আমার জানা নেই।
নিউজ লাইট ৭১