ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতারণার হাতিয়ার ম্যাগনেটিক কয়েন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 24

ম্যাগনেটিক কয়েন। ছবি: নিউজ লাইট ৭১

কথিত ম্যাগনেটিক কয়েনের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে একটি প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. ইউসুফ আলী, মো. খবির চৌকিদার, মো. শামীম, মো. নাসির উদ্দিন আকন ও মো. জসিম গাজী।

শনিবার ধানমন্ডি লেকপাড় এলাকা থে‌কে তা‌দের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে কথিত ১০টি ম্যাগনেটিক কয়েন উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়ে‌ছে।

গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম রেজাউল হক বলেন, ভিকটিম একজন ব্যবসায়ী। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভিকটিমের পরিচিত একজন ব্যক্তি তা‌কে কয়েকজন ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীর স‌ঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা ভিকটিমকে তাদের কাছে থাকা একটি কয়েনের কথা বলে, যা ক্রয় করে দেশে বা বিদেশে বিক্রি করলে অনেক টাকার মালিক হতে পারবে ব‌লে ভিক‌টিম‌কে ব‌লেন।

ম্যাগনেট কয়েন কেনার জন্য মিন্টু নামে এক ব্যক্তি অথল‌গ্নি করেছেন। তার সাথে দেখা করার জন্য ভিকটিম খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় যান। সেখানে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ নামে এক ব্যাক্তির সাথে তার পরিচয় করিয়ে দেয় ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীরা। এসময় ইউসুফ ভিকটিমকে ম্যাগনেট কয়েন কেনার জন্য উৎসাহিত করেন।

ইউসুফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় এবং ম্যাগনেট কয়েন সম্পর্কে তার ধারণা থাকায় ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করেন। ভিকটিম ওই অফিসে প্রায়শই যাতায়াত করতে শুরু ক‌রেন। যাতায়াত এবং কথাবার্তার মাধ্যমে এক পর্যায়ে ভিকটিম গত ২৮ আগস্ট সকালে মিন্টুর দেয়া ঠিকানায় কথিত ম্যাগনেট কয়েন কিন‌তে ৭৫ লাখ টাকা ইউসুফ আলী, খবির চৌকিদার, শামীম, নাছির ও জসিম ওরফে জুয়েলদের নগদ দেন।

টাকা ‌দেয়ার ৩/৪ দিন পর ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ ফোন করে ভিকটিমকে কয়েকদিনের মধ্যে তাদের বরিশাল যে‌তে হবে ব‌লে জানান। এরই প্রেক্ষি‌তে গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট কারে ক‌রে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফসহ ভিকটিম বরিশাল যান ভিক‌টিম। সেখানে তারা একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন এবং ফোনে ইঞ্জিনিয়ার ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করেন।

তারা কথিত ম্যাগনেট কয়েন নিয়ে আসবো, আসতেছি বলে কালক্ষেপন করতে থাকেন। ৪ সেপ্টেম্বর সকালে ভিকটিমকে হোটেলে রেখে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ ম্যাগনেট কয়েনের মালিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে ভিকটিম বারবার তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হ‌লে তি‌নি প্রতা‌রিত হওয়ার বিষয়‌টি বুঝ‌তে পা‌রেন। প‌রে তি‌নি খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

রেজাউল হক বলেন, মামলাটির তদন্তকালে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতারক চক্রটির অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তা‌রের জন‌্য অভিযান চল‌ছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

প্রতারণার হাতিয়ার ম্যাগনেটিক কয়েন

আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

কথিত ম্যাগনেটিক কয়েনের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে একটি প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. ইউসুফ আলী, মো. খবির চৌকিদার, মো. শামীম, মো. নাসির উদ্দিন আকন ও মো. জসিম গাজী।

শনিবার ধানমন্ডি লেকপাড় এলাকা থে‌কে তা‌দের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে কথিত ১০টি ম্যাগনেটিক কয়েন উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়ে‌ছে।

গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম রেজাউল হক বলেন, ভিকটিম একজন ব্যবসায়ী। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভিকটিমের পরিচিত একজন ব্যক্তি তা‌কে কয়েকজন ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীর স‌ঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা ভিকটিমকে তাদের কাছে থাকা একটি কয়েনের কথা বলে, যা ক্রয় করে দেশে বা বিদেশে বিক্রি করলে অনেক টাকার মালিক হতে পারবে ব‌লে ভিক‌টিম‌কে ব‌লেন।

ম্যাগনেট কয়েন কেনার জন্য মিন্টু নামে এক ব্যক্তি অথল‌গ্নি করেছেন। তার সাথে দেখা করার জন্য ভিকটিম খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় যান। সেখানে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ নামে এক ব্যাক্তির সাথে তার পরিচয় করিয়ে দেয় ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীরা। এসময় ইউসুফ ভিকটিমকে ম্যাগনেট কয়েন কেনার জন্য উৎসাহিত করেন।

ইউসুফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় এবং ম্যাগনেট কয়েন সম্পর্কে তার ধারণা থাকায় ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করেন। ভিকটিম ওই অফিসে প্রায়শই যাতায়াত করতে শুরু ক‌রেন। যাতায়াত এবং কথাবার্তার মাধ্যমে এক পর্যায়ে ভিকটিম গত ২৮ আগস্ট সকালে মিন্টুর দেয়া ঠিকানায় কথিত ম্যাগনেট কয়েন কিন‌তে ৭৫ লাখ টাকা ইউসুফ আলী, খবির চৌকিদার, শামীম, নাছির ও জসিম ওরফে জুয়েলদের নগদ দেন।

টাকা ‌দেয়ার ৩/৪ দিন পর ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ ফোন করে ভিকটিমকে কয়েকদিনের মধ্যে তাদের বরিশাল যে‌তে হবে ব‌লে জানান। এরই প্রেক্ষি‌তে গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট কারে ক‌রে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফসহ ভিকটিম বরিশাল যান ভিক‌টিম। সেখানে তারা একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন এবং ফোনে ইঞ্জিনিয়ার ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করেন।

তারা কথিত ম্যাগনেট কয়েন নিয়ে আসবো, আসতেছি বলে কালক্ষেপন করতে থাকেন। ৪ সেপ্টেম্বর সকালে ভিকটিমকে হোটেলে রেখে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ ম্যাগনেট কয়েনের মালিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে ভিকটিম বারবার তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হ‌লে তি‌নি প্রতা‌রিত হওয়ার বিষয়‌টি বুঝ‌তে পা‌রেন। প‌রে তি‌নি খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

রেজাউল হক বলেন, মামলাটির তদন্তকালে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতারক চক্রটির অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তা‌রের জন‌্য অভিযান চল‌ছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button