ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোকালয়ে জঙ্গলের বানর

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 34

লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গলের বানর (ছবি : নিউজ লাইট ৭১)

গাইবান্ধায় খাবারের সন্ধানে একটি বানর লোকালয়ে এসে বিভিন্ন গাছে ও বাড়ির চালে ছুটাছুটি করছে। এতে গ্রামের মানুষদের মাঝে এক ধরণের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বানরটিকে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মনোহরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কুমারগাড়ি-হালিমনগর এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে বানরটি এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ক্ষুধার্ত বানরটি গাছে, বাড়ির ছাদে খাবারের সন্ধানে লাফালাফি করছে। মাটিতে আসলে লোকজন তাকে খাবারও দিচ্ছে। জঙ্গলের বানর এলাকায় দেখে অনেকের মাঝে ভীতিও বিরাজ করছে। কোথা থেকে বানরটি লোকালয়ে আসলো তা কেউ বলতে পারছেন না।

স্থানীয়রা জানান, এই প্রত্যন্ত এলাকায় কিভাবে বানরটি চলে আসলো কারো জানা নেই। তবে গত (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের সমিতির বাজার (ফকিরহাট) এলাকায় একটি বট গাছে প্রথমে বানরটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সেখানে বানরটি দেখতে ভিড় করে আশেপাশে লোকজন। তারা বানরটিকে খাবার দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ধরার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বানরটি তার সুবিধা মতো জায়গায় চলে যায়।

কুমারগাড়ি গ্রামের মাসুদ মণ্ডল ও জাহিদুল ইসলাম নামে বলেন, গত তিনদিন থেকে বানরটিকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বানরটি কাউকে আঘাত করেনি। হয়তো খাবারের অভাবেই এখানে আসছে। তবে একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাদের অবগত করেছেন।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন বলেন, এটি বন বিভাগের কাজ। তবে মাঠ পর্যায়ে যে আমাদের লোক আছে, তাদের দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সতর্ক ও বানরটিকে বিরক্ত বা আঘাত না করার জন্য বলা হচ্ছে। বানরটি কাউকে কামড় দিলে তাকে জলাতঙ্কের টিকা নিতে হবে। যদি বানরটি অসুস্থ হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

জেলা বন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, সম্ভাব্য ভারত থেকে এই বানরটি এসে। লোকালয়ে বানরটি বেশ কদিন থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আঘাত করেনি। বন বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

লোকালয়ে জঙ্গলের বানর

আপডেট টাইম : ০৪:১২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

গাইবান্ধায় খাবারের সন্ধানে একটি বানর লোকালয়ে এসে বিভিন্ন গাছে ও বাড়ির চালে ছুটাছুটি করছে। এতে গ্রামের মানুষদের মাঝে এক ধরণের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বানরটিকে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মনোহরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কুমারগাড়ি-হালিমনগর এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে বানরটি এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ক্ষুধার্ত বানরটি গাছে, বাড়ির ছাদে খাবারের সন্ধানে লাফালাফি করছে। মাটিতে আসলে লোকজন তাকে খাবারও দিচ্ছে। জঙ্গলের বানর এলাকায় দেখে অনেকের মাঝে ভীতিও বিরাজ করছে। কোথা থেকে বানরটি লোকালয়ে আসলো তা কেউ বলতে পারছেন না।

স্থানীয়রা জানান, এই প্রত্যন্ত এলাকায় কিভাবে বানরটি চলে আসলো কারো জানা নেই। তবে গত (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের সমিতির বাজার (ফকিরহাট) এলাকায় একটি বট গাছে প্রথমে বানরটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সেখানে বানরটি দেখতে ভিড় করে আশেপাশে লোকজন। তারা বানরটিকে খাবার দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ধরার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বানরটি তার সুবিধা মতো জায়গায় চলে যায়।

কুমারগাড়ি গ্রামের মাসুদ মণ্ডল ও জাহিদুল ইসলাম নামে বলেন, গত তিনদিন থেকে বানরটিকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বানরটি কাউকে আঘাত করেনি। হয়তো খাবারের অভাবেই এখানে আসছে। তবে একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাদের অবগত করেছেন।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন বলেন, এটি বন বিভাগের কাজ। তবে মাঠ পর্যায়ে যে আমাদের লোক আছে, তাদের দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সতর্ক ও বানরটিকে বিরক্ত বা আঘাত না করার জন্য বলা হচ্ছে। বানরটি কাউকে কামড় দিলে তাকে জলাতঙ্কের টিকা নিতে হবে। যদি বানরটি অসুস্থ হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

জেলা বন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, সম্ভাব্য ভারত থেকে এই বানরটি এসে। লোকালয়ে বানরটি বেশ কদিন থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আঘাত করেনি। বন বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button