ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘর নির্মাণে গাফিলতি, ঘর পড়ে আছে খাদে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 30

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরিতে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এ প্রকল্পের কাজে নয় ছয় করে দূর্নীতি অনিয়ম করেছে একটি কুচক্র মহল। ঘরই না ঘরের সাথে সম্পৃক্ত সকল কাজই এ গাফিলতি হয়েছে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে উপজেলার একটি আশ্রয়ন প্রকল্প। এটি উপজেলার আওনা ইউনিয়নের ঘুইঞ্চা চর এলাকায়। সেখানে নির্মাণের পর থেকেই উঠেছে বিভিন্ন অভিযোগ। এ ঘরগুলোর বেহাল অবস্থা। পরবর্তী বর্তমান সময়ে একটি ঘর পড়ে থাকতে দেখা যায় পাশের খাদে। এই প্রকল্পের পাশ থেকে মাটিকাটা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলেই এই অবস্থা হয়েছে দাবি উপকারভোগীদের। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই করা এই আশ্রয়ন প্রকল্পের নেই কোন যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, টিউবওয়েল ও বাথরুমের ও রয়েছে সমস্যা।

এর ফলে নির্মাণের পর থেকে পড়ে আছে স্বপ্নের এই ঘরগুলো। এদিকে, বন্যার সময় চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। এর মধ্যে কেউ থাকতে চাননা সেখানে বলছেন, ভুক্তভোগীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, হালকা বৃষ্টিতে সড়ে যাচ্ছে মাটি আর ফাটল ধরাসহ বিভিন্ন ঘরের দেয়াল ও মেঝে থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। নির্মাণের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান, ঐ জায়গায় নতুন করে প্যালাসাইডিং করে ঘরটি করা হচ্ছে। চলাচল এর জন্য রাস্তা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।

জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় জানান, আমি যোগদানের ৫/৬। মাস আগের ঘটনা। এখন প্যালাসাইডিং কাজ করা হয়েছে। সেখানে কিছু ঘর খালি আছে, উপকারভোগীরা যেন সেখানে থাকতে পারে এই জন্য রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে নাগরিক সুবিধা তৈরি করে দিয়ে যেন মানুষ সেখানে থাকে।

ইতিমধ্যেই উপজেলা পরিষদ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যখন এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল তখন সুবিধা ভোগীরা থাকতে চেয়েছিল। আমি পরিদর্শন করব, সেখানে মানুষ যেন থাকতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

ঘর নির্মাণে গাফিলতি, ঘর পড়ে আছে খাদে

আপডেট টাইম : ০৬:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরিতে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এ প্রকল্পের কাজে নয় ছয় করে দূর্নীতি অনিয়ম করেছে একটি কুচক্র মহল। ঘরই না ঘরের সাথে সম্পৃক্ত সকল কাজই এ গাফিলতি হয়েছে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে উপজেলার একটি আশ্রয়ন প্রকল্প। এটি উপজেলার আওনা ইউনিয়নের ঘুইঞ্চা চর এলাকায়। সেখানে নির্মাণের পর থেকেই উঠেছে বিভিন্ন অভিযোগ। এ ঘরগুলোর বেহাল অবস্থা। পরবর্তী বর্তমান সময়ে একটি ঘর পড়ে থাকতে দেখা যায় পাশের খাদে। এই প্রকল্পের পাশ থেকে মাটিকাটা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলেই এই অবস্থা হয়েছে দাবি উপকারভোগীদের। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই করা এই আশ্রয়ন প্রকল্পের নেই কোন যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, টিউবওয়েল ও বাথরুমের ও রয়েছে সমস্যা।

এর ফলে নির্মাণের পর থেকে পড়ে আছে স্বপ্নের এই ঘরগুলো। এদিকে, বন্যার সময় চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। এর মধ্যে কেউ থাকতে চাননা সেখানে বলছেন, ভুক্তভোগীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, হালকা বৃষ্টিতে সড়ে যাচ্ছে মাটি আর ফাটল ধরাসহ বিভিন্ন ঘরের দেয়াল ও মেঝে থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। নির্মাণের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান, ঐ জায়গায় নতুন করে প্যালাসাইডিং করে ঘরটি করা হচ্ছে। চলাচল এর জন্য রাস্তা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।

জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় জানান, আমি যোগদানের ৫/৬। মাস আগের ঘটনা। এখন প্যালাসাইডিং কাজ করা হয়েছে। সেখানে কিছু ঘর খালি আছে, উপকারভোগীরা যেন সেখানে থাকতে পারে এই জন্য রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে নাগরিক সুবিধা তৈরি করে দিয়ে যেন মানুষ সেখানে থাকে।

ইতিমধ্যেই উপজেলা পরিষদ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যখন এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল তখন সুবিধা ভোগীরা থাকতে চেয়েছিল। আমি পরিদর্শন করব, সেখানে মানুষ যেন থাকতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১