ঢাকা ০১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেই কর্তা, ঘুরছে সিলিং ফ্যান

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 27

বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে সরকার অফিস কার্যক্রম সীমিত করেছে। সীমিত করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সময়সীমা। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ অপচয় করা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা নেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়ের কর্তাদের। অফিসে কোন কর্মকর্তা বা কোন কর্মচারী না থাকা সত্ত্বেও স্বাভাবিক গতিতেই ঘুরছে সিলিং ফ্যান। ওই কার্যালয়ের প্রতিদিনের চিত্র এটি।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অফিস খোলা রাখা হয়েছে। তবে অফিসে সকাল থেকে নেই কর্মকর্তা বা অন্য কোন কর্মচারী। তবুও সমিতির অডিট কক্ষে বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যান ঘুরছে। এসময় অফিসে কেউ না থাকায় অনেক সেবাপ্রত্যাশী সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান ও অফিস সহায়ক জহুরুল হক অফিস খোলা রেখেই টেবিলের গ্লাস কিনতে পৌরশহরের একটি দোকানে গিয়েছেন। আর শহিদুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম নামের দুজন সহকারী পরিদর্শক গেছেন মাঠ পর্যায়ের সমিতি পরিদর্শনে।

কয়েকজন সেবাপ্রত্যাশী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অফিস খোলা রেখে কর্তারা বাহিরে গেছেন। তারা অযথা ফ্যান চালু রেখেছেন। এতে দেশের সম্পদ অপচয় করা হচ্ছে। প্রতিদিন সমবায় অফিসে এভাবেই বিদ্যুতের অপচয় করা হয়। এগুলো দেখার কেউ নাই।

সেবা নিতে আসা সর্বানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহান মোল্লা নামের এক যুবক বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ অপচয় রোধে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। অথচ সমবায় অফিসে কেউ না থাকার পরেও ফ্যান ঘুরছে। বিদ্যুৎ বিল তো আর তাদের বেতন থেকে দেওয়া লাগেনা।’

এদিকে, ওই কার্যালয়ে ফ্যান ঘুরতে দেখে উপজেলা সমবায় অফিসারকে ফোন করা হলে তিনি অফিস সহায়ক জহুরুল হককে অফিসে পাঠিয়ে দেন। অফিস সহায়ক এসে তড়িঘড়ি করে ফ্যান বন্ধ করে অফিস কক্ষে তালা ঝুঁলিয়ে বাহিরে বের হন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে আবারও অফিস কক্ষ খুলে সাংবাদিকদের বসার অনুরোধ করেন। উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. জহুরুল হক বলেন, ‘স্যারসহ দোকানে টেবিলের গ্লাস কিনতে গিয়েছিলাম। তখন বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্যানের সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যাই।’

অফিসে কেউ না থাকার পরেও ফ্যান ঘুরানোর বিষয়টি স্বীকার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘অফিস সহায়ককে সাথে নিয়ে টেবিলের গ্লাস কিনতে দোকানে গিয়েছিলাম। তখন বিদ্যুৎ ছিলনা। তাই এমনটি হয়েছে। আশা রাখি আর কখনো এমন হবেনা।’

বিষয়টি শোনার পর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘এবিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলছি।’

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

নেই কর্তা, ঘুরছে সিলিং ফ্যান

আপডেট টাইম : ০৬:০২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে সরকার অফিস কার্যক্রম সীমিত করেছে। সীমিত করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সময়সীমা। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ অপচয় করা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা নেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়ের কর্তাদের। অফিসে কোন কর্মকর্তা বা কোন কর্মচারী না থাকা সত্ত্বেও স্বাভাবিক গতিতেই ঘুরছে সিলিং ফ্যান। ওই কার্যালয়ের প্রতিদিনের চিত্র এটি।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অফিস খোলা রাখা হয়েছে। তবে অফিসে সকাল থেকে নেই কর্মকর্তা বা অন্য কোন কর্মচারী। তবুও সমিতির অডিট কক্ষে বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যান ঘুরছে। এসময় অফিসে কেউ না থাকায় অনেক সেবাপ্রত্যাশী সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান ও অফিস সহায়ক জহুরুল হক অফিস খোলা রেখেই টেবিলের গ্লাস কিনতে পৌরশহরের একটি দোকানে গিয়েছেন। আর শহিদুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম নামের দুজন সহকারী পরিদর্শক গেছেন মাঠ পর্যায়ের সমিতি পরিদর্শনে।

কয়েকজন সেবাপ্রত্যাশী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অফিস খোলা রেখে কর্তারা বাহিরে গেছেন। তারা অযথা ফ্যান চালু রেখেছেন। এতে দেশের সম্পদ অপচয় করা হচ্ছে। প্রতিদিন সমবায় অফিসে এভাবেই বিদ্যুতের অপচয় করা হয়। এগুলো দেখার কেউ নাই।

সেবা নিতে আসা সর্বানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহান মোল্লা নামের এক যুবক বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ অপচয় রোধে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। অথচ সমবায় অফিসে কেউ না থাকার পরেও ফ্যান ঘুরছে। বিদ্যুৎ বিল তো আর তাদের বেতন থেকে দেওয়া লাগেনা।’

এদিকে, ওই কার্যালয়ে ফ্যান ঘুরতে দেখে উপজেলা সমবায় অফিসারকে ফোন করা হলে তিনি অফিস সহায়ক জহুরুল হককে অফিসে পাঠিয়ে দেন। অফিস সহায়ক এসে তড়িঘড়ি করে ফ্যান বন্ধ করে অফিস কক্ষে তালা ঝুঁলিয়ে বাহিরে বের হন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে আবারও অফিস কক্ষ খুলে সাংবাদিকদের বসার অনুরোধ করেন। উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. জহুরুল হক বলেন, ‘স্যারসহ দোকানে টেবিলের গ্লাস কিনতে গিয়েছিলাম। তখন বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্যানের সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যাই।’

অফিসে কেউ না থাকার পরেও ফ্যান ঘুরানোর বিষয়টি স্বীকার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘অফিস সহায়ককে সাথে নিয়ে টেবিলের গ্লাস কিনতে দোকানে গিয়েছিলাম। তখন বিদ্যুৎ ছিলনা। তাই এমনটি হয়েছে। আশা রাখি আর কখনো এমন হবেনা।’

বিষয়টি শোনার পর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘এবিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলছি।’

নিউজ লাইট ৭১