ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিল-স্বাক্ষর জাল করে সার্টিফিকেট!

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২
  • / 28

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সোনিয়া আক্তারের প্যাডে তার স্বাক্ষর ও সীল জাল করে বয়স নির্ধারণের সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ডা. সোনিয়া আক্তার বৃহস্পতিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মঠবাড়িয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যালয়।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ডাঃ সোনিয়া নিজ চেম্বারের রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের পাশে রাখা রোগীর রিপোর্ট মনে করে একটি খাম খুলেন। খামের ভিতর তার প্রেসক্রিপশন প্যাডে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বয়স নির্ধারনী সার্টিফিকেট দেখতে পান। সোনিয়া আক্তার জানান, সার্টিফিকেটে যে স্বাক্ষর একটিও তার হাতের লেখা নয়।

এ ব্যাপারে ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনিশিয়ান মোঃ জাকির হোসেন সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে মালিক নূর নবী বলেন, যেহেতু আমি মালিক, তাই দায় এড়াতে পারি না। তবে আমি কিছুই জানিনা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সারওয়ার হোসেন খান জানান, এ ঘটনায় আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

সিল-স্বাক্ষর জাল করে সার্টিফিকেট!

আপডেট টাইম : ০৫:১৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সোনিয়া আক্তারের প্যাডে তার স্বাক্ষর ও সীল জাল করে বয়স নির্ধারণের সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ডা. সোনিয়া আক্তার বৃহস্পতিবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মঠবাড়িয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যালয়।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ডাঃ সোনিয়া নিজ চেম্বারের রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের পাশে রাখা রোগীর রিপোর্ট মনে করে একটি খাম খুলেন। খামের ভিতর তার প্রেসক্রিপশন প্যাডে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বয়স নির্ধারনী সার্টিফিকেট দেখতে পান। সোনিয়া আক্তার জানান, সার্টিফিকেটে যে স্বাক্ষর একটিও তার হাতের লেখা নয়।

এ ব্যাপারে ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনিশিয়ান মোঃ জাকির হোসেন সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে মালিক নূর নবী বলেন, যেহেতু আমি মালিক, তাই দায় এড়াতে পারি না। তবে আমি কিছুই জানিনা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সারওয়ার হোসেন খান জানান, এ ঘটনায় আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ লাইট ৭১