রাজপথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- আপডেট টাইম : ০১:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 117
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ভারতে চলমান বিতর্কিত নাগারিক বিল নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। এবার কলকাতায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাজপথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আগামী সপ্তাহে পরপর তিনদিন সিএবি’র প্রতিবাদে মিছিল করবে তৃণমূল। তবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের আহ্বান জানান মমতা।
বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা বলেন, ‘‘বাংলায় কোনও অবস্থায় সিএবি এবং এনআরসি চালু করতে দেব না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে রাষ্ট্রপতি সই করার পর তা আইনে পরিণত হয়েছে ঠিক। কিন্তু সেই আইন রাজ্য সরকার কার্যকর করবে না। এখানে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। আমরা চাই সব জাতি, সব ধর্ম ও বর্ণের লোকেরা একসঙ্গে মিলেমিশে থাকুক।’’
ওই আইনের বিরোধিতায় আগামী সোমবার উত্তর কলকাতায় বি আর আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিল করার কথা ঘোষণা করেন মমতা। পরের দিন অর্থা মঙ্গলবার যাদবপুর ৮ বি বাসস্ট্যান্ড থেকে একই রকম প্রতিবাদ মিছিল হবে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত। বুধবার হাওড়া ময়দান থেকে ডোরিনা ক্রসিং। তারপর আগামী রবিবার রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার সদর শহর এবং আগামী সোমবার প্রতিটি ব্লকে সব ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের লোকেদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করার নির্দেশ দেন মমতা।
ইতিমধ্যে পঞ্জাব, কেরলে রাজ্য সরকার সিএবি এবং এনআরসি চালু করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তারাও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, কোন অবস্থাতেই দেশকে দ্বিখণ্ডিত-ত্রিখণ্ডিত হতে দেব না।’’
গতকয়েক দিনে বাংলাদেশ এবং জাপানের সরকার দেশটিতে সফর বাতিল করেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বরাবরের। কিন্তু একটা দল ক্ষমতায় এসে দেশের স্থায়িত্বকে নষ্ট করে দিচ্ছে।’’
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উত্তাল পরিস্থিতির জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিল্লি সফর বাতিল করার কথা এ দিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। আন্দোলনকারীরা বেশ কিছু গাড়িতে ও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে মমতার শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনের ঘোষণা কতটা শান্তিপূর্ণ থাকে সেটাই এখন দেখার বিষয়।