লাখ টাকার আইসক্রিম
- আপডেট টাইম : ০৪:২৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
- / 25
ঢাকার পাঁচতারা হোটেল স্যারিনার বর্ষপূর্তিতে দুর্দান্ত একটি আইসক্রিম প্যাকেজ এনেছে। আইসক্রিমের দাম এক টাকা কম লাখ টাকা হলেও অর্ডার সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে হোটেলটি।
সম্প্রতি হোটেল স্যারিনার ফেসবুক পাতায় একটি পোস্টে বলা হয়, ‘ঢাকার সবচেয়ে দামি আইসক্রিম পাওয়া যাচ্ছে ৯৯,৯৯৯ টাকায়।’
পোস্টের সঙ্গে কাচের ছোট বাটিতে সোনায় মোড়ানো আইসক্রিমের ছবিও দেয়া হয়।
মুহূর্তেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই তা শেয়ার দেন। ফেসবুক পোস্ট দেয়ার একদিনের মধ্যেই এই প্যাকেজটি ‘ওভারবুকড’ হয়ে যাওয়ার কারণে এর অর্ডার নেয়া বন্ধ আছে বলে ফেইসবুক পোস্টে জানায় হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১৭ জুলাই হোটেল সারিনার ১৯তম বর্ষপূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে দুবাই থেকে ২৪ ক্যারেটের খাওয়ারযোগ্য সোনায় তৈরি এই আইসক্রিম এনেছে হোটেলটি।
‘গোল্ডেন আইসক্রিম’ নিয়ে হোটেল স্যারিনার মার্কেটিং বিভাগের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মেহরান হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, ‘ইতোমধ্যে অসংখ্য অর্ডার হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে এসে গেছে। ওভারবুকড হয়ে যাওয়ায় এখন আর নতুন কোনো অর্ডার নেয়া যাচ্ছে না। ভাবতেই পারিনি এত সাড়া পাব। ভাবিনি একদিনেই এত অর্ডার আসবে, যে অফারটি বন্ধই করে দিতে হবে। আমরা অভিভূত!’
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এই আইসক্রিম তৈরিতে দুবাই থেকে আনা ‘সোনালী পাতা’ বা ‘গোল্ড লিফ’ বাজারে আর পাওয়া যাচ্ছে না বলে নতুন অর্ডার নিতে পারছেন না বলে জানান মেহেরান।
তবে হোটেল কর্তৃপক্ষের ‘নিজস্ব নীতি’ অনুসরণ করতে এই আইসক্রিম প্যাকেজের ঠিক কতটি অর্ডার তারা পেয়েছেন, এ বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি তিনি।
এই আইসক্রিম কেনার প্যাকেজে হোটেলটিতে থাকার সুযোগও রয়েছে।
মেহরান বলেন, আইসক্রিমের এই প্যাকেজ ক্রেতারা হোটেল সারিনার ‘লাক্সারিয়াস ইম্পেরিয়াল সুইটে’ দুজন এক রাত থাকতে পারবেন বিনামূল্যে।
এই হোটেলে বিলাসবহুল ‘ইম্পেরিয়াল সুইটের’ সংখ্যা মাত্র একটি। এখানে এক রাত থাকতে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। আইসক্রিমের প্যাকেজের সঙ্গে আরও আছে সকালের নাশতা।
এই আইসক্রিম তৈরিতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে- জানতে চাইলে মেহেরান বলেন, এটি দুবাই থেকে আনা ২৪ ক্যারেট ভোজ্য (এডিবল) সোনার তৈরি আইসক্রিম। এর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কয়েকটি ভিটামিন, জিঙ্ক, কপার এবং সেলেনিয়ামের পুষ্টিগুণ আছে। আইসক্রিমটি সাজানো হয়েছে ক্রিস্টাল গবলেট এবং সোনার পাতা দিয়ে। সিরাপের সাথেও মেশানো হয়েছে ভোজ্য সোনা।
গহনা হিসেবে ব্যবহৃত সোনা ছাড়াও আরেকটি বিশেষ রকমের সোনা রয়েছে, যা খাওয়াও যায় এবং সেটিই এই আইসক্রিমের রেসিপিতে ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সোনায় মোড়ানো খাবার, মিষ্টি এসব বাইরের দেশগুলোতে স্বাভাবিক ব্যাপার। নবাবি খাবারে সোনা ব্যবহারের রীতি ছিল।
আমাদের এখানে এটার প্রচলন তেমন ছিল না। এটার কারণে আমাদের নিজেদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, যার কারণে অনেকের মধ্যেই এটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, সোনা কীভাবে খাওয়া যায়। আসল কথা হল, এটি এডিবল গোল্ড।
নিউজ লাইট ৭১