ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • / 28

অধিকার আর অংশগ্রহণের প্রশ্নে লিঙ্গ ব্যবধান ঘোচানোর ক্ষেত্রে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৩ জুলাই) বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রকাশিত প্রতিবেদনের ১৬তম সংস্করণের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশের সামগ্রিক লিঙ্গ ব্যবধান দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম তাদের এই লিঙ্গ সমতা সূচক প্রকাশ করে আসছে ২০০৬ সাল থেকে। অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তি এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন- এই চার মাপকাঠিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিবেচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

লিঙ্গ সমতায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থেকে এগিয়ে আছে। সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নেপাল এই অঞ্চলে দ্বিতীয় সেরা এবং বিশ্বব্যাপী দেশটির অবস্থান ৯৬তম।

লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় শ্রীলঙ্কা এই অঞ্চলে তৃতীয় এবং সামগ্রিকভাবে ১১০তম স্থানে রয়েছে। দেশটির স্কোর পয়েন্ট ৬৭ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে মালদ্বীপ ১১৭তম এবং ভুটান ১২৬তম অবস্থানে রয়েছে। সূচকে ভারতের অবস্থান ১৩৫তম, এই অঞ্চলে খারাপের দিক থেকে তৃতীয়।

বিশ্বে এবং দক্ষিণ এশিয়াতে লিঙ্গ সমতায় সবার নিচে অবস্থান করছে। লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় দেশটির স্কোর ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ। পাকিস্তান বিশ্বব্যাপী ১৪৫তম অবস্থানে রয়েছে এবং খারাপের দিক থেকে এই অঞ্চলে দ্বিতীয়।

যদিও কোনো দেশ এখনও সম্পূর্ণ লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে পারেনি, তবুও শীর্ষ ১০টি দেশ লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় কমপক্ষে ৮০ শতাংশ স্কোর করেছে।

যদিও কোনো দেশ এখনও সম্পূর্ণ লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে পারেনি, তবুও শীর্ষ ১০টি দেশ লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় কমপক্ষে ৮০ শতাংশ স্কোর করেছে।

ডব্লিউইএফ মূলত চারটি মাপকাঠি-অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ এবং শিক্ষায় সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর লিঙ্গ-ভিত্তিক ব্যবধান পরিমাপের মাধ্যমে সূচক তৈরি করে।

প্রাপ্ত স্কোরে বিশ্বে শিক্ষায় সুযোগে ১২৩তম, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে ১২৯তম এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নবম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরুষ ও নারী উভয়েরই কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ এবং ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আনুপাতিক প্রভাব নারীদের ওপর বেশি পড়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১১:১৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

অধিকার আর অংশগ্রহণের প্রশ্নে লিঙ্গ ব্যবধান ঘোচানোর ক্ষেত্রে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৩ জুলাই) বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রকাশিত প্রতিবেদনের ১৬তম সংস্করণের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশের সামগ্রিক লিঙ্গ ব্যবধান দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম তাদের এই লিঙ্গ সমতা সূচক প্রকাশ করে আসছে ২০০৬ সাল থেকে। অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তি এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন- এই চার মাপকাঠিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিবেচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

লিঙ্গ সমতায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থেকে এগিয়ে আছে। সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নেপাল এই অঞ্চলে দ্বিতীয় সেরা এবং বিশ্বব্যাপী দেশটির অবস্থান ৯৬তম।

লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় শ্রীলঙ্কা এই অঞ্চলে তৃতীয় এবং সামগ্রিকভাবে ১১০তম স্থানে রয়েছে। দেশটির স্কোর পয়েন্ট ৬৭ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে মালদ্বীপ ১১৭তম এবং ভুটান ১২৬তম অবস্থানে রয়েছে। সূচকে ভারতের অবস্থান ১৩৫তম, এই অঞ্চলে খারাপের দিক থেকে তৃতীয়।

বিশ্বে এবং দক্ষিণ এশিয়াতে লিঙ্গ সমতায় সবার নিচে অবস্থান করছে। লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় দেশটির স্কোর ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ। পাকিস্তান বিশ্বব্যাপী ১৪৫তম অবস্থানে রয়েছে এবং খারাপের দিক থেকে এই অঞ্চলে দ্বিতীয়।

যদিও কোনো দেশ এখনও সম্পূর্ণ লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে পারেনি, তবুও শীর্ষ ১০টি দেশ লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় কমপক্ষে ৮০ শতাংশ স্কোর করেছে।

যদিও কোনো দেশ এখনও সম্পূর্ণ লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে পারেনি, তবুও শীর্ষ ১০টি দেশ লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় কমপক্ষে ৮০ শতাংশ স্কোর করেছে।

ডব্লিউইএফ মূলত চারটি মাপকাঠি-অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ এবং শিক্ষায় সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর লিঙ্গ-ভিত্তিক ব্যবধান পরিমাপের মাধ্যমে সূচক তৈরি করে।

প্রাপ্ত স্কোরে বিশ্বে শিক্ষায় সুযোগে ১২৩তম, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে ১২৯তম এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নবম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরুষ ও নারী উভয়েরই কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ এবং ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আনুপাতিক প্রভাব নারীদের ওপর বেশি পড়েছে।

নিউজ লাইট ৭১