ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অশান্ত পশ্চিমবঙ্গ। বাস ও ট্রেনে বেপরোয়াভাবে আগুন দেয়া হয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 115

নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: অশান্ত পশ্চিমবঙ্গ। বাস ও ট্রেনে বেপরোয়াভাবে আগুন দেয়া হয়েছে। মূলত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ অশান্ত হয়ে উঠেছে। শনিবার বিকেল থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছিতে। তবে মুর্শিদাবাদ জেলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে পূর্ব রেলের লালগোলা এবং কৃষ্ণপুর স্টেশনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছেন একাধিক ট্রেন। লালগোলা স্টেশন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে আতুন দিয়ে। এ সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সুতিতে। হামলা চালানো হয়েছে সামশেরগঞ্জ থানায়। এ ঘটনায় সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। তারা বলছে, প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য এমনটা ঘটছে। আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, এ দিন বিকেলে লালগোলার আগের স্টেশন কৃষ্ণপুরে থামিয়ে দেওয়া হয় একটি ট্রেনকে। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে সেই ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা ট্রেনও জ্বলতে দেখা যায়। লালগোলা স্টেশনে আগুন লাগানো হয় রেলের সম্পত্তিতে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কৃষ্ণপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ৫টি রেকে আগুন লাগানো হয়েছে। এ ছাড়াও লালগোলা এবং কৃষ্ণপুর স্টেশনেও আগুন লাগানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় বিক্ষোভ, রেল-সড়ক অবরোধ চলছিল এদিন সকাল থেকে। ওই আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকেই রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল দুপুর থেকে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চল। বিক্ষোভের আঁচ পড়ে খাস কলকাতাতেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বার্তা দিয়েছেন, কেউ যেন আইন নিজের হাতে না তুলে নেন। সে ক্ষেত্রে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ‘অরাজকতা’ বন্ধ করার কথা বলছেন রাজ্যের মন্ত্রীরাও। রাজ্যপালকেও বলতে শোনা গিয়েছে, আইন মেনে চলার বার্তা দিতে।
বিরোধীরা যদিও গোটা ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতাকে তুলে ধরছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই তৃণমূল সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না বলেই দাবি করেছেন তিনি।
এ দিন সকাল থেকে হাওড়ার ডোমজুড়ের সলপ মোড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে দেখানো হয় প্রতিবাদ। বেশ কয়েকটি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা লাঠিচার্জও করতে হয় পুলিশকে। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদের সুতিতে তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা

Tag :

শেয়ার করুন

অশান্ত পশ্চিমবঙ্গ। বাস ও ট্রেনে বেপরোয়াভাবে আগুন দেয়া হয়েছে।

আপডেট টাইম : ০৯:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: অশান্ত পশ্চিমবঙ্গ। বাস ও ট্রেনে বেপরোয়াভাবে আগুন দেয়া হয়েছে। মূলত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ অশান্ত হয়ে উঠেছে। শনিবার বিকেল থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছিতে। তবে মুর্শিদাবাদ জেলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে পূর্ব রেলের লালগোলা এবং কৃষ্ণপুর স্টেশনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছেন একাধিক ট্রেন। লালগোলা স্টেশন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে আতুন দিয়ে। এ সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সুতিতে। হামলা চালানো হয়েছে সামশেরগঞ্জ থানায়। এ ঘটনায় সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। তারা বলছে, প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য এমনটা ঘটছে। আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, এ দিন বিকেলে লালগোলার আগের স্টেশন কৃষ্ণপুরে থামিয়ে দেওয়া হয় একটি ট্রেনকে। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে সেই ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা ট্রেনও জ্বলতে দেখা যায়। লালগোলা স্টেশনে আগুন লাগানো হয় রেলের সম্পত্তিতে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কৃষ্ণপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ৫টি রেকে আগুন লাগানো হয়েছে। এ ছাড়াও লালগোলা এবং কৃষ্ণপুর স্টেশনেও আগুন লাগানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় বিক্ষোভ, রেল-সড়ক অবরোধ চলছিল এদিন সকাল থেকে। ওই আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকেই রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল দুপুর থেকে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চল। বিক্ষোভের আঁচ পড়ে খাস কলকাতাতেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বার্তা দিয়েছেন, কেউ যেন আইন নিজের হাতে না তুলে নেন। সে ক্ষেত্রে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ‘অরাজকতা’ বন্ধ করার কথা বলছেন রাজ্যের মন্ত্রীরাও। রাজ্যপালকেও বলতে শোনা গিয়েছে, আইন মেনে চলার বার্তা দিতে।
বিরোধীরা যদিও গোটা ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতাকে তুলে ধরছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই তৃণমূল সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না বলেই দাবি করেছেন তিনি।
এ দিন সকাল থেকে হাওড়ার ডোমজুড়ের সলপ মোড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে দেখানো হয় প্রতিবাদ। বেশ কয়েকটি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা লাঠিচার্জও করতে হয় পুলিশকে। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদের সুতিতে তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা