সাইনোসাইটিস আসলে কি?
- আপডেট টাইম : ০১:২৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
- / 25
সাইনোসাইটিসের ব্যথাতে কষ্ট পান এমন অনেকেই আছেন। অথচ এ ব্যথা সাইনোসাইটিস-এর নাকি মাইগ্রেইন-এর এই নিয়ে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। সাইনোসাইটিস আসলে কি? আমাদের দেহের যে সকল জায়গা ফাঁপা বা ছিদ্রযুক্ত হয়ে থাকে তাকেই মূলত সাইনাস বলে। এই সাইনাসগুলোতে যখন কোনো কারণে ঘা বা প্রদাহ হয়ে থাকে তখন এই ঘা বা প্রদাহকেই সাইনোসাইটিস বলা হয়।
সাইনোসাইটিসের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো মাথাব্যথা। তার সাথে জ্বর জ্বর ভাব থাকে ও নাক বন্ধ থাকে। সাধারণত সকাল থেকে দুপুরের দিকে সাইনোসাইটিসের ব্যথা বাড়ে এবং বিকেলের দিকে অনেক সময় কমে যায়। তবে সাইনাসগুলো চোখ ও ব্রেনের পাশে বেশি থাকে বলে মাথা ব্যথার সাথে সাথে চোখ ও নাকের পার্শ্ববর্তি অঞ্চলেও ব্যথা হতে পারে।
সাইনোসাইটিসের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায়সমূহঃ
(১) কাঁচা সবজির জুস সাইনোসাইটিসের প্রভাব কমানোর জন্য অনেক উপকারী। ৩০০মিলি. গাজরের জুস, ১০০মিলি, শশার জুস, ১০০মিলি., বিটের জুস এবং ২০০ মিলি, পালং শাকের জুস ভালো ভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
(২) সাইনোসাইটিসে ভুগলে ভিটামিন-এ যুক্ত খাবার যেমন আম, কুমড়ো, ডিমের হলুদ অংশ, টমেটো, পেঁপে, গাজর, দুধ ও দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
(৩) ১ টেবিল চামচ কালো জিরা একটা পাতলা কাপড়ে বেঁধে নিয়ে তার গন্ধ নিতে পারেন।
(৪) এক টেবিল চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে জ্বাল দিয়ে নিন যতক্ষণ না অর্ধেক হয়। প্রতিদিন ৩/৪ গ্লাস সেবন করলে সাইনোসাইটিসের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।
(৫) পেঁয়াজ এবং আদার গন্ধ নিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই দুটি উপাদানের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণ আছে।
(৬) আদা অথবা দারুচিনির চা হালকা গরম অবস্থায় পান করুন।
(৭) ঠাণ্ডা ও তৈলাক্ত জাতীয় খাবার অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
(৮) ব্যায়ামের মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের প্রভাব কমিয়ে আনা যায়।
সাইনোসাইটিসের জন্য মাথা ব্যথা হচ্ছে মনে হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার প্রাথমিক পর্যায়ে মূলত সাইনোসাইটিসের মাত্রা বুঝে ঔষধ ও নাকের ড্রপ দিয়ে থাকেন।
নিউজ লাইট ৭১