ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের পর হত্যা: ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
  • / 28

রূপগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের পর স্বামীসহ তাকে হত্যার দায়ে ১১ বছর বাদে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের আদালত। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুজ্জামান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, লোকমান, শফিক, সুমন, আরিফুল, মো. সুমন ও জামাল। উপজেলার দেবই বোচারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিদের মধ্যে তিনজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক রয়েছেন তিনজন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিয়ের পাঁচ মাস পর থেকেই আব্দুর রহমান ও খাদিজা বেগমের মধ্যে কলহ শুরু হয়। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট রূপগঞ্জের কয়েল কারখানার শ্রমিক খাদিজা কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বের হন। বাড়ি ফেরার জন্য তিনি সহকর্মী আমেনার সঙ্গে গাউছিয়া জুট মিলের পিছনে আসেন।

সেখানে আব্দুর রহমান আগে থেকেই ছিলেন। রহমান ও খাদেজা আলাদা অটোরিকশায় করে চলে যান। পরে ১৬ আগস্ট সকাল ১১টায় উপজেলার বোচারবাগের রমিজ উদ্দিনের ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় খাদিজার বাবা আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, পারিবারিক কলহের জেরে খাদিজা বেগমকে ওই রাতে আসামিদের কাছে নিয়ে যায় তার স্বামী রহমান। খাদিজাকে আগেই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন রহমান। মধ্যরাতে খাদিজাকে তার স্বামী ও পরে অন্য আসামিরা ধর্ষণ করেন। শেষে পানিতে ডুবিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

রহমান স্ত্রীকে হত্যার জন্য আসামিদের সঙ্গে ১০ টাকায় চুক্তি করেছিলেন। সেই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আসামিরা তাকেও গলা কেটে হত্যা করে। পরে ডোবায় ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, এ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

ধর্ষণের পর হত্যা: ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৪:২৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

রূপগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের পর স্বামীসহ তাকে হত্যার দায়ে ১১ বছর বাদে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের আদালত। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুজ্জামান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, লোকমান, শফিক, সুমন, আরিফুল, মো. সুমন ও জামাল। উপজেলার দেবই বোচারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিদের মধ্যে তিনজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক রয়েছেন তিনজন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিয়ের পাঁচ মাস পর থেকেই আব্দুর রহমান ও খাদিজা বেগমের মধ্যে কলহ শুরু হয়। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট রূপগঞ্জের কয়েল কারখানার শ্রমিক খাদিজা কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বের হন। বাড়ি ফেরার জন্য তিনি সহকর্মী আমেনার সঙ্গে গাউছিয়া জুট মিলের পিছনে আসেন।

সেখানে আব্দুর রহমান আগে থেকেই ছিলেন। রহমান ও খাদেজা আলাদা অটোরিকশায় করে চলে যান। পরে ১৬ আগস্ট সকাল ১১টায় উপজেলার বোচারবাগের রমিজ উদ্দিনের ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় খাদিজার বাবা আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, পারিবারিক কলহের জেরে খাদিজা বেগমকে ওই রাতে আসামিদের কাছে নিয়ে যায় তার স্বামী রহমান। খাদিজাকে আগেই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন রহমান। মধ্যরাতে খাদিজাকে তার স্বামী ও পরে অন্য আসামিরা ধর্ষণ করেন। শেষে পানিতে ডুবিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

রহমান স্ত্রীকে হত্যার জন্য আসামিদের সঙ্গে ১০ টাকায় চুক্তি করেছিলেন। সেই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আসামিরা তাকেও গলা কেটে হত্যা করে। পরে ডোবায় ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, এ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

নিউজ লাইট ৭১