প্রবাসীর স্ত্রী উধাও
- আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২
- / 33
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং মুন্ডার ডেইল ১ নং ওয়ার্ডের নুরু সালামের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী আমির হোসেনের স্ত্রী পারভিন আক্তার এক চিহ্নিত ইয়াবা কারবারির সাথে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, নুর হোসেন একজন বিবাহিত পুরুষ ও তার সাথে পালিয়ে যাওয়া পারভিন আক্তারও একজন বিবাহিতা মহিলা। ইয়াবা কারবারি নুর হোসেনের সাথে পালিয়ে যাওয়া পারভিন আক্তারের সংসারে ৩ টি সন্তান রয়েছে তার মধ্যে ১ মেয়ে ও ২ ছেলে।
শনিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় এমনটি জানিয়েছেন সাবরাং মুন্ডার ডেইল এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী আমির হোসেন। তিনি গত ঈদের পর থেকে আজ পর্যন্ত ঘুমাননি বলে চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে এসব কথা জানান।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার প্রকাশ ফুতুইন্যার ছেলে নুর হোসেনের সাথে তার স্ত্রী পারভিন আক্তারের ইয়াবার পাচার কাজে সম্পৃক্ততা ছিল। নুর হোসেনের ইয়াবার চালান দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার কাজে সহযোগিতা করত পারভিন আক্তার। মাঝে মধ্যে সে নিজেও ইয়াবা বহন করে নুর হোসেনের নির্দেশ মতো স্থানে পৌঁছে দিত। গত ১০ বছর স্বামী আমির হোসেন বিদেশ থাকার সুবাদে ইয়াবা কারবারি নুর হোসেনের সাথে পারভিন আক্তারের পরকীয়ার সম্পর্ক হয়।
প্রবাসী আমির হোসেন ভিডিও বার্তায় জানান, গত ১০ বছর আগে তিনি স্ত্রী সন্তান, মা-বাবা ও পরিবারের সুখের খাতিরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপার্জনের জন্য সুদূর মালয়েশিয়া পাড়ি দেন, যাওয়ার পর থেকে তার কষ্টার্জিত টাকা সংসারের সুখের জন্য খরচ করতে থাকেন। তার ৩ সন্তানের ভরন-পোষণ ও সংসারের সব দায়িত্ব পালন শেষে সবার অজান্তে নগদ ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণলংকার বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী পারভিন আক্তারের জন্য পাঠায়। সে সব কিছু ভুলে বেশি সুখের আশায় অনেক সাধনায় গড়া আমার সংসার ও ৩ বাচ্চা ছেড়ে ইয়াবা কারবারির সাথে পালিয়েছে।
তিনি আরও জানান,আমি যেকোন মুহূর্তে মৃত্যুবরণ করতে পারি, গত ২৮ রমজানের দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি ঘুমাতে পারিনি, আমি যদি মরে যাই মৃত্যুর জন্য তারা দুইজন দায়ী থাকবে।
রবিবার (৫ জুন) সকালে প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে অত্র এলাকার স্থায়ী এক দোকানদার ও নুর হোসেনের খালাত ভাই নিউজ লাইট ৭১ কে জানান, নুর হোসেন বর্তমানে সাগরে মাছ ধরার কাজ করে, গত ঈদুল ফিতরের সময় প্রবাসী আমির হোসেনের স্ত্রী পারভিনকে নিয়ে কয়েকদিন কোথাও চলে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সে এলাকায় থাকে।
নুর হোসেনের স্ত্রী রমিজা খাতুন বলেন, আমার স্বামী পারভিনকে বিয়ে করেছে তারা ভাড়া বাসায় এক সাথে বসবাস করছে। আমার দুইটি বাচ্চা আছ, আমার সুখের সংসার ভেঙে ওই নষ্ট মহিলার সাথে থাকে। আমাদের কোন ধরনের ভরণ-পোষণ দেয় না, যোগাযোগও করে না। আমি একবার নিষেধ করতে গিয়ে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। যার চিকিৎসার কাগজপত্র আমি রেখেছি এবং টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ করেছি। আমি কোথাও বিচার পাচ্ছি না। আমি স্বামীকে ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সেলিম সিআইপি জানান, দীর্ঘদিন থেকে তারা দুইজন বিয়ে ছাড়া লিভ টুগেদার করে আসছে, আমি এ বিষয়ে কয়েকবার সালিসে বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও তারা কারও কথা না মেনে প্রকাশ্যে একসাথে বসবাস করে আসছে। প্রবাসী আমির হোসেন বেচারা খুবই ভালো মানুষ। তার সাথে যা হচ্ছে তা দুঃখজনক।
প্রবাসী আমির হোসেন বর্তমানে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তার পরিবার ও এলাকার অনেকে।
নিউজ লাইট ৭১