ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম বেড়েছে ধানের

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
  • / 25

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর হাটগুলোতে বেড়েছে ধানের সরবরাহ। মিল পর্যায়ে ধানের মজুত বাড়াতে মালিকরা হাটে ভিড় করছেন। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ধানের বাড়তি দামে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কম হয়েছে বলে দাবি করেন কৃষকরা।

এই মাসের প্রথম থেকেই নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার মাঠে ধান কাটা শুরু হয়। ইতিমধ্যে ধান ঘরেও তুলেছেন কৃষক। এসব ধান বিক্রির জন্য ভোর থেকেই নওগাঁর সরস্বতীপুর হাটে ভিড় করেন কৃষক।

গত কয়েকদিনের তুলনায় এ হাটে ধানের সরবরাহ বেড়েছে। এ সুযোগে মিলে ধানের মজুত করতে হাটে ব্যাপারীদেরও উপস্থিতি বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম মণপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মোটা জাতের ধান এক হাজার ২২০ টাকায় এবং চিকন কাটারি, জিরা ও মিনিকেট এক হাজার ৪৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

ধানের বাজারের বিষয়ে কৃষকরা বলেন, ‘বাজার এমন থাকলে কৃষকের কিছু হলেও লাভ হবে। আর যদি দাম নেমে আসে, তাহলে কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে। সবকিছুর দাম বেশি, তাই আবাদ করতে সমস্যা হয়েছে। এদিকে এবার বৃষ্টির কারণে ধানের আবাদ ভালো হয়নি।’ বাজারে ধান কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘গত হাট ও আজকের মধ্যে ১৫০ ও ২৫০ টাকার পার্থক্য। যে পরিমাণ ধান আসছে, তার তুলনায় ব্যাপারী বেশি, তাই এর জন্য দাম বেশি।’

চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে এক হাজার ৮০ টাকা মণ ধান ও ৪০ টাকা কেজিতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাল কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমি থেকে সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু শেষ সময়ে কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ৩৫ শতাংশ ধানের ফলন কম হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

দাম বেড়েছে ধানের

আপডেট টাইম : ০৪:২০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

নওগাঁর হাটগুলোতে বেড়েছে ধানের সরবরাহ। মিল পর্যায়ে ধানের মজুত বাড়াতে মালিকরা হাটে ভিড় করছেন। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ধানের বাড়তি দামে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কম হয়েছে বলে দাবি করেন কৃষকরা।

এই মাসের প্রথম থেকেই নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার মাঠে ধান কাটা শুরু হয়। ইতিমধ্যে ধান ঘরেও তুলেছেন কৃষক। এসব ধান বিক্রির জন্য ভোর থেকেই নওগাঁর সরস্বতীপুর হাটে ভিড় করেন কৃষক।

গত কয়েকদিনের তুলনায় এ হাটে ধানের সরবরাহ বেড়েছে। এ সুযোগে মিলে ধানের মজুত করতে হাটে ব্যাপারীদেরও উপস্থিতি বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম মণপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মোটা জাতের ধান এক হাজার ২২০ টাকায় এবং চিকন কাটারি, জিরা ও মিনিকেট এক হাজার ৪৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

ধানের বাজারের বিষয়ে কৃষকরা বলেন, ‘বাজার এমন থাকলে কৃষকের কিছু হলেও লাভ হবে। আর যদি দাম নেমে আসে, তাহলে কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে। সবকিছুর দাম বেশি, তাই আবাদ করতে সমস্যা হয়েছে। এদিকে এবার বৃষ্টির কারণে ধানের আবাদ ভালো হয়নি।’ বাজারে ধান কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘গত হাট ও আজকের মধ্যে ১৫০ ও ২৫০ টাকার পার্থক্য। যে পরিমাণ ধান আসছে, তার তুলনায় ব্যাপারী বেশি, তাই এর জন্য দাম বেশি।’

চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে এক হাজার ৮০ টাকা মণ ধান ও ৪০ টাকা কেজিতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাল কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমি থেকে সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু শেষ সময়ে কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ৩৫ শতাংশ ধানের ফলন কম হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button
sharethis sharing button