রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দিনের বেলার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে রবিবার (২২ মে) জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে ছয় বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২১ মে) সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির প্রবণতা রাজশাহী বিভাগে হ্রাস পেয়েছে।

শনিবার হঠাৎ করেই কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গিয়ে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়, এরপর হয় বৃষ্টি। আবার কিছুক্ষণ ঝড়-বৃষ্টির পরই স্বাভাবিক হয়ে যায় দিনের পরিস্থিতি। দেখা মিলে রোদেরও। সেদিন ঢাকায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও রবিবার সকাল থেকেই দেখা দেয় রোদেলা আকাশ।

এদিন সবচেয়ে বেশি ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সীতাকুণ্ডে। ঝড়-বৃষ্টি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দূর হয়েছে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে; রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের বেশকিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরনের ভারি (২২ থেকে ৪৩ মিলিমিটার) থেকে ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।

নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সাতক্ষীরায় ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম থাইল্যান্ড এবং তৎসংলগ্ন মিয়ানমার এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ; এরপর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিরাজমান রয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১