ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বধ্যভূমিগুলো অরক্ষিত

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • / 36

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বধ্যভূমিগুলোর সংস্কারের নেই উদ্যোগ নেই। জানা গেছে সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বেশ কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমি। সংরক্ষণের জন্য সরকারি বিভিন্ন বরাদ্ধে অন্যান্য প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও, এ নিয়ে নেই প্রশাসন-জনপ্রতিনিধিদের কোনো পদক্ষেপ। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২৪ এপ্রিল পাকিস্তান বাহিনী প্রবেশ করে ৭ মাস ১৮ দিন যুদ্ধের পর হানাদারমুক্ত হয় ১২ ডিসেম্বর। আরা সেই বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি হলেও এখনো অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে বধ্যভূমিগুলো। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ইতিহাসের বধ্যভূমিগুলো স্বীকৃতি দিয়ে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের।

উপজেলার পোস্ট অফিস সংলগ্ন, সাইঞ্চার পাড়, শহীদ নগর, পারপাড়া বধ্যভূমির নেই সংরক্ষণ।বধ্যভূমিগুলোকে সংরক্ষণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ জানান, সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে আসছে। কিন্তু আমাদের এই বধ্যভূমিগুলোর প্রতি স্থানীয়ভাবে তেমন কোন নজর দেওয়া হয়নি। কাজেই সরকারের প্রতি আমাদের দাবি অতিদ্রুত এই বধ্যভূমি সংরক্ষণ করে স্মৃতিফলক নির্মাণের অনুরোধ জানাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যেই সরকার মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও ভবিষ্যতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বধ্যভূমিগুলো অরক্ষিত

আপডেট টাইম : ০৫:২৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বধ্যভূমিগুলোর সংস্কারের নেই উদ্যোগ নেই। জানা গেছে সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বেশ কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমি। সংরক্ষণের জন্য সরকারি বিভিন্ন বরাদ্ধে অন্যান্য প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও, এ নিয়ে নেই প্রশাসন-জনপ্রতিনিধিদের কোনো পদক্ষেপ। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২৪ এপ্রিল পাকিস্তান বাহিনী প্রবেশ করে ৭ মাস ১৮ দিন যুদ্ধের পর হানাদারমুক্ত হয় ১২ ডিসেম্বর। আরা সেই বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি হলেও এখনো অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে বধ্যভূমিগুলো। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ইতিহাসের বধ্যভূমিগুলো স্বীকৃতি দিয়ে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের।

উপজেলার পোস্ট অফিস সংলগ্ন, সাইঞ্চার পাড়, শহীদ নগর, পারপাড়া বধ্যভূমির নেই সংরক্ষণ।বধ্যভূমিগুলোকে সংরক্ষণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ জানান, সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে আসছে। কিন্তু আমাদের এই বধ্যভূমিগুলোর প্রতি স্থানীয়ভাবে তেমন কোন নজর দেওয়া হয়নি। কাজেই সরকারের প্রতি আমাদের দাবি অতিদ্রুত এই বধ্যভূমি সংরক্ষণ করে স্মৃতিফলক নির্মাণের অনুরোধ জানাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যেই সরকার মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও ভবিষ্যতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১