আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস পালিত হচ্ছে
- আপডেট টাইম : ০৭:২১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
- / 27
আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস আজ বুধবার (১৮ মে)। প্রতিবছরের মতো এবারও একই স্লোগানকে সামনে রেখে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা হচ্ছে- যাতে ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক এবং পণ্ডিত ব্যক্তিদের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং বিশ্ব নাগরিকরা জাদুঘর ও তার আপন ঐতিহ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখেন।
অতীতের মতো এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে- ‘পাওয়ার অব মিউজিয়াম’। ১৯৭৭ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের আহ্বানে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আইসিওএম। বর্তমানে বিশ্বের ১০৭ দেশের প্রায় ২৮ হাজার জাদুঘর এর সদস্য হিসেবে যুক্ত রয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রতিবছর দিবসটিতে বর্ণাঢ্য র্যালি, বিষয়ভিত্তিক সেমিনার এবং বিশেষ প্রদর্শনী আয়োজন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে এ বছরও বিস্তারিত কর্মসূচি রয়েছে। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে- র্যালি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বুধবার (১৮ মে) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। জাতীয় জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক ড. অ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আয়োজনটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
বিশ্লেষকদের মতে, জাদুঘর এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর সংগ্রহ সংরক্ষিত থাকে। এতে শৈল্পিক, বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বস্তুগুলো সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর তা জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়।
জানা গেছে, ভারতীয় উপমহাদেশে জাদুঘরের ধারণাটি এসেছে ব্রিটিশদের হাত ধরে। ভারতীয় এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্যরা এই অঞ্চলের জাতিতাত্ত্বিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, ভূ-তাত্ত্বিক এবং প্রাণীবিষয়ক নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে সেগুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যাপারে উদ্যোগী হন।
লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস ছিলেন একজন এশিয়াটিক সোসাইটির পৃষ্ঠপোষক। তিনি কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে জমির ব্যবস্থা করেন। ১৮০৮ সালে সেখানে জাদুঘরের জন্য ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ায় ১৮১৪ সালে উপমহাদেশের প্রথম জাদুঘর ‘এশিয়াটিক সোসাইটি মিউজিয়ামের’ জন্ম এবং প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯১০ সালের এপ্রিল মাসে দিঘাপতিয়া রাজপরিবারের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় শরৎকুমার রায়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর’ বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘরের খ্যাতি অর্জন করে। ১৯১৩ সালে এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে শতাধিক জাদুঘর রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরই দেশের প্রধান জাদুঘর হিসেবে শুরু থেকেই বিবেচিত।
সূত্র : বাসস
নিউজ লাইট ৭১