শাজাহান খান একজন দুর্নীতিবাজ।
- আপডেট টাইম : ০৯:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 114
নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে মাদারীপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ নয় বরং সেখানকার সংসদ সদস্য শাজাহান খানের পকেট কমিটির লোক।
আমার লোকেরা কোনো বিক্ষোভ করবে না। কারণ আন্দোলন করলে উনি (শাজাহান খান) ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না। আমি বরং উনার বিচার চাইবো। কারণ শাজাহান খান একজন দুর্নীতিবাজ।
সম্প্রতি মাদারীপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী গেলো সোমবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের গোবিন্দ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন শাজাহান খানের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আপনার মতো কাগুজে বাঘ আমি সকাল-বিকাল নাশতা খাই। আমার এলাকার এক কোদাল মাটি যদি কাটা হয়, তাহলে আপনার রাজনীতির বারোটা বাজাইয়া তেরোটা কইরা ছাইড়া দেব।’
কালামৃধা এলাকায় ভাঙ্গা ও পাশের মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে কুমার নদ। ওই নদের খননকাজ করছেন সাংসদ শাজাহান খানের ভাই হাফেজুর রহমান খান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদে চর পড়েছে রাজৈর এলাকায়। কিন্তু নদের ওই অংশে খনন না করে ভাঙ্গার পাশের অংশে খনন করায় নদের তীরসংলগ্ন একটি বাড়ি ও একটি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শাজাহান খান গণবাহিনীর ডাকাত উল্লেখ করে মজিবুর রহমান বলেন, ‘তেলাপোকাও পাখি আর শাজাহান খানও মানুষ। ওনারে আমি মানুষ মনে করি না, তেলাপোকার মতো পাখি। ওনার ওস্তাদরেই খাইয়া ফেলাইলাম, আর উনি তো কোনো বিষয় না। আমার সাথে খেলতে আইসেন না। জন্মের পর থেকে আমার বাপে আমারে প্লেয়ার বানাইছে। তাই খেলা আমরাও জানি।’
এর প্রতিবাদে মাদারীপুরে শাজাহান খানের উপস্থিতিতে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
এ ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘মাদারীপুর থেকে খাল কাটার একটি টেন্ডার হয়েছে মাদারীপুরের অংশে। কিন্তু উনি খাল কাটবেন আমার ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। সেখানে আমার মসজিদ-মন্দির অছে। ঘরবাড়ি আছে। এখানে এক কোদাল মাটি কাটলে শাজাহান খানের বাড়ির একশ কোদাল মাটি কেটে আনবো।’
খাল কাটার ওই কাজ শাহজাহান খানের আপন ভাই হাফেজুর রহমান খান পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওনার তো সবই লাগে। ওনার একভাই কন্ট্রাক্টর, আরেক ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান। উনি নিজে এমপি। ওনার স্ত্রী মহিলা এমপি। ওনার ছেলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি।
শাহজাহান খান জাসদ করতেন উল্লেখ করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে হত্যা করেছেন তিনি। অস্ত্র মামলায় তার পাঁচ বছরের সাজাও হয়েছিলো।