ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ-ডিম-মুরগি-সবজির দাম বেড়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২
  • / 31

ফাইল ছবি

কয়েক সপ্তাহ ধরেই পেঁয়াজের দাম নিয়ে সারাদেশে হইচই চলছে। পেঁয়াজের পাশাপাশি বাজারে দাম বেড়েছে ডিম, সবজি ও মুরগির। এমন অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতি নিয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (১৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে গত কয়দিনের বৃষ্টি।

এসব বাজারে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ১২০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে সবজি বিক্রেতাদের থেকে জানান যায়, বাজারে ইদের পরে সবজির চাহিদা বেড়েছে। রোজায় ক্রেতারা সবজি কম খেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দামও বেড়েছে। গত কয়দিনের বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে সবজির।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

এসব বাজারে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন ৫০ টাকা। দেশি আদা ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।

প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

এসব বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।

ডিম বিক্রেতাদের থেকে জানা যায়, গত তিন দিনের বৃষ্টির কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। ইদের পরে বাজারে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। ডিমের চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

এসব বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় খামারিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে গত তিন-চার দিনের বৃষ্টি। এছাড়া রয়েছে সিন্ডিকেটের প্রভাব।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

পেঁয়াজ-ডিম-মুরগি-সবজির দাম বেড়েছে

আপডেট টাইম : ০৪:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২

কয়েক সপ্তাহ ধরেই পেঁয়াজের দাম নিয়ে সারাদেশে হইচই চলছে। পেঁয়াজের পাশাপাশি বাজারে দাম বেড়েছে ডিম, সবজি ও মুরগির। এমন অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতি নিয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (১৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে গত কয়দিনের বৃষ্টি।

এসব বাজারে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ১২০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে সবজি বিক্রেতাদের থেকে জানান যায়, বাজারে ইদের পরে সবজির চাহিদা বেড়েছে। রোজায় ক্রেতারা সবজি কম খেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দামও বেড়েছে। গত কয়দিনের বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে সবজির।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

এসব বাজারে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন ৫০ টাকা। দেশি আদা ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।

প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

এসব বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।

ডিম বিক্রেতাদের থেকে জানা যায়, গত তিন দিনের বৃষ্টির কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। ইদের পরে বাজারে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। ডিমের চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

এসব বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় খামারিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে গত তিন-চার দিনের বৃষ্টি। এছাড়া রয়েছে সিন্ডিকেটের প্রভাব।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button