ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিআইবি প্রতিবেদন ভীত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
  • / 31

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক (ফাইল ফটো)

‘করোনা মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা ভীত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, তারা এরকম মনগড়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি পড়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকেই ‘ইনট্রান্সপারেন্ট’ (অস্বচ্ছ) মনে হয়েছে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্প্রতি টিআইবির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী একটি দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার কথা। সেখানে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৭৫ ভাগ মানুষকে, অর্থাৎ প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে এসেছে। বুস্টার ডোজই দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষকে।

জাহিদ মালেক বলেন, টিআইবি জরিপ করা হয়েছে মাত্র ১৮০০ মানুষের ওপর। স্বাস্থ্য খাত টিকা দিয়েছে ১৩ কোটি ডোজ। তাহলে কোথায় ১৩ কোটি মানুষ, আর কোথায় মাত্র ১৮০০ জন মানুষের জরিপের ফলাফল। সেই জরিপও করা হয়েছে ফোনে ফোনে কথা বলে। প্রতিবেদনে টিআইবি একটার পর একটা মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, টিআইবি বলেছে, দেশের ৭.৮ ভাগ মানুষ করোনায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। ৭.৮ ভাগ মানুষ মানে দেড় লাখ মানুষ। অথচ দেশে করোনায় ৩০ হাজারের কম মানুষ মারা গেছে।

তিনি বলেন, রিপোর্টে আরও বলা হয়, ৪০ লাখের বেশি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি টিকা পায়নি। এটিও সঠিক তথ্য নয়। দেশে বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি আছেন ১ কোটি ২০ লাখের মতো। সরকার সবার আগে বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা দিয়েছে। তারপর অন্যান্য মানুষকে দেওয়া হয়েছে। কোথাও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি টিকা পাননি এমন কথা জানা যায়নি। এরমধ্যে যারা নেয়নি, তারা ইচ্ছে করেই নেয়নি। তবে টিকাদানে সরকারের স্বদিচ্ছার কোনও ঘাটতি ছিল না।

টিকাদানে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোও কোনও জায়গায় ৬৬-৬৭ টাকা করে ঘুষ দিয়ে টিকা নিতে হয়েছে। ৬৬-৬৭ টাকা আজকাল কাউকে এমনি এমনি দিলেও নিতে চায় না। অথচ এটি প্রচার করা হলো দুর্নীতি হিসেবে।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার রেমডিসিভির ওষুধ সবার আগে দেশে এসেছে। সেটিও সরকার বিনামূল্যে দিয়েছে। এরপরও টিআইবি বলছে— দেশে নাকি ওষুধের ঘাটতি ছিল। মূলত টিআইবি স্বাস্থ্য খাতের অর্জনকে ম্লান করে দিতেই এমন রিপোর্ট করেছে, যা এখন প্রমাণিত।

ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

টিআইবি প্রতিবেদন ভীত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর

আপডেট টাইম : ০৪:১৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

‘করোনা মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা ভীত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, তারা এরকম মনগড়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি পড়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকেই ‘ইনট্রান্সপারেন্ট’ (অস্বচ্ছ) মনে হয়েছে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্প্রতি টিআইবির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী একটি দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার কথা। সেখানে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৭৫ ভাগ মানুষকে, অর্থাৎ প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে এসেছে। বুস্টার ডোজই দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষকে।

জাহিদ মালেক বলেন, টিআইবি জরিপ করা হয়েছে মাত্র ১৮০০ মানুষের ওপর। স্বাস্থ্য খাত টিকা দিয়েছে ১৩ কোটি ডোজ। তাহলে কোথায় ১৩ কোটি মানুষ, আর কোথায় মাত্র ১৮০০ জন মানুষের জরিপের ফলাফল। সেই জরিপও করা হয়েছে ফোনে ফোনে কথা বলে। প্রতিবেদনে টিআইবি একটার পর একটা মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, টিআইবি বলেছে, দেশের ৭.৮ ভাগ মানুষ করোনায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। ৭.৮ ভাগ মানুষ মানে দেড় লাখ মানুষ। অথচ দেশে করোনায় ৩০ হাজারের কম মানুষ মারা গেছে।

তিনি বলেন, রিপোর্টে আরও বলা হয়, ৪০ লাখের বেশি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি টিকা পায়নি। এটিও সঠিক তথ্য নয়। দেশে বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি আছেন ১ কোটি ২০ লাখের মতো। সরকার সবার আগে বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা দিয়েছে। তারপর অন্যান্য মানুষকে দেওয়া হয়েছে। কোথাও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি টিকা পাননি এমন কথা জানা যায়নি। এরমধ্যে যারা নেয়নি, তারা ইচ্ছে করেই নেয়নি। তবে টিকাদানে সরকারের স্বদিচ্ছার কোনও ঘাটতি ছিল না।

টিকাদানে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোও কোনও জায়গায় ৬৬-৬৭ টাকা করে ঘুষ দিয়ে টিকা নিতে হয়েছে। ৬৬-৬৭ টাকা আজকাল কাউকে এমনি এমনি দিলেও নিতে চায় না। অথচ এটি প্রচার করা হলো দুর্নীতি হিসেবে।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার রেমডিসিভির ওষুধ সবার আগে দেশে এসেছে। সেটিও সরকার বিনামূল্যে দিয়েছে। এরপরও টিআইবি বলছে— দেশে নাকি ওষুধের ঘাটতি ছিল। মূলত টিআইবি স্বাস্থ্য খাতের অর্জনকে ম্লান করে দিতেই এমন রিপোর্ট করেছে, যা এখন প্রমাণিত।

ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ লাইট ৭১

 

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button