মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা ২০০৯ এ বলা আছে, একজন নিকাহ নিবন্ধক চার লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার টাকার জন্য সাড়ে ১২ টাকা ফি নিতে পারবেন।
দেনমোহর চার লাখের বেশি হলে এর পর থেকে প্রতি এক লাখ বা অংশ বিশেষের জন্য ১০০ টাকা নিবন্ধন ফি নিতে পারবেন। তবে সর্বনিম্ন ফি হবে ২০০ টাকা। তালাক নিবন্ধনের ফি ৫০০ টাকা।
একজন নিবন্ধক বছরে সরকারি কোষাগারে ১০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি এবং নবায়নের জন্য পাঁচ হাজার টাকা জমা দেন।
কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এক বিয়েতে আমি দেখি ২৫ হাজার টাকা ফি চেয়েছেন কাজী। আমি তখন হস্তক্ষেপ করায় নানা রকম টালবাহানা শুরু করে। পরে বলছে, আচ্ছা, যা পারেন দেন। এ রকম বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এই জিনিসটা আমরা বন্ধ করতে চাই।’
তালাক নিবন্ধনের নকল সংগ্রহ করার জন্য নিবন্ধকাররা টাকা আদায় করেন উল্লেখ করে কমিটির সভাপতি বলেন, ‘এর জন্য টাকার দরকার নেই। তবুও নেওয়া হচ্ছে। মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালাটি যুগোপযোগী করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০২০-২১ অর্থবছরে নয়জন নিবন্ধককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুজনের সনদ বাতিল করা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, নিকাহ রেজিস্ট্রারদের কাছ থেকে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট সাত কোটি ৮৫ হাজার ৪৫৮ টাকা কোষাগারে জমা পড়েছে।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল মজিদ খান এবং রুমিন ফারহানা অংশ নেন।
নিউজ লাইট ৭১