ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০১:২৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২
  • / 25

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি : সংগৃহীত)

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে উদ্বোধন হয়েছে দেশের বৃহৎ এক হাজার তিনশ ২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর মাধ্যমে দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি অনেকটা কমবে বলে দাবি বিশিষ্ট জনদের।

এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পটুয়াখালীতে মানুষের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দফতরসহ বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়া সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন।

বিসিপিসিএল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমর্পোট অ্যান্ড এক্সর্পোট করপোরশনের (সিএমসি) মধ্যে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরও ২০২০ সালের ১৫ মে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে দিতে সক্ষম হয় (বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড) বিসিপিসিএল।

পরে ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর আলট্রা সুপার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কিন্তু গোপালগঞ্জ সাব ষ্টেশনের ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় এবং গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিন বাজার পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন পর্যন্ত সরবরাহ করতে পারছে না বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। তবে এ বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে পাওয়ার প্লান্টটি পুরো ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দিতে সক্ষম হবে বলে ধারণ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক হাজার একর জমির উপর নির্মিত পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার। প্রতিদিন এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন হবে ১৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা।

উল্লেখ্য, প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি এটি চালু হতে পারে।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০১:২৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে উদ্বোধন হয়েছে দেশের বৃহৎ এক হাজার তিনশ ২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর মাধ্যমে দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি অনেকটা কমবে বলে দাবি বিশিষ্ট জনদের।

এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পটুয়াখালীতে মানুষের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দফতরসহ বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়া সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন।

বিসিপিসিএল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমর্পোট অ্যান্ড এক্সর্পোট করপোরশনের (সিএমসি) মধ্যে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরও ২০২০ সালের ১৫ মে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে দিতে সক্ষম হয় (বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড) বিসিপিসিএল।

পরে ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর আলট্রা সুপার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কিন্তু গোপালগঞ্জ সাব ষ্টেশনের ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় এবং গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিন বাজার পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন পর্যন্ত সরবরাহ করতে পারছে না বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। তবে এ বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে পাওয়ার প্লান্টটি পুরো ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দিতে সক্ষম হবে বলে ধারণ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক হাজার একর জমির উপর নির্মিত পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার। প্রতিদিন এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন হবে ১৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা।

উল্লেখ্য, প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি এটি চালু হতে পারে।

নিউজ লাইট ৭১