ভারতের মন্ত্রী অমিত শাহ বক্তব্য সঠিক নয়:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট টাইম : ১০:০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 93
নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিশ্বে উদাহরণ। এখানে নির্যাতনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার কারণে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ ঠিক নয়। এখানে সব ধর্মের মানুষেরাই তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বিনা বাধায় উদযাপন করে থাকে। এদেশের নিয়ম হচ্ছে, ধর্ম নিজের নিজের, কিন্তু উৎসব সবার। আমরা এই নীতিতেই বিশ্বাস করি।
ভারতের মন্ত্রী অমিত শাহ তার বক্তব্যে বলেছেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না থামার কারণে তারা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি এনেছেন।
সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশসহ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সংবিধানকে উদ্ধৃত করে বলেন, এই দেশগুলোর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলেই সেখানে অন্য ধর্মের মানুষরা নিপীড়িত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এখনো বিলটি দেখিনি, দেখতে হবে। তবে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের যে কথা বা হলো- সেটি তো পুরোপুরি ভুল।’
এর আগে বিদেশি একটি গণমাধ্যমে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। বরং তারা শান্তি এবং সম্প্রীতির সাথে বসবাস করছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বলতেই পারি যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা এখন খুব ভাল। আগে যারা বিদেশে চলে গিয়েছিলেন, তারাও এখন ফিরে আসছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাস হয়েছে। নাগরিকত্ব তাঁদেরই দেয়া হবে যাঁরা এই তিন দেশ থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে চলে এসেছেন। আগের আইন অনুযায়ী ১২ বছর ভারতে থাকলে কেউ নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী হতেন। সংশোধিত আইন অনুযায়ী সেই সময়সীমা কমিয়ে ৬ বছর করা হয়েছে। তবে উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অধিকাংশকেই এই বিলের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।