ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসুস্থ গরুর মাংস যাচ্ছে হাট-বাজারে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২
  • / 31

অসুস্থ গরুর মাংস যাচ্ছে হাট-বাজারে (ছবি : নিউজ লাইট ৭১)

লালমনিরহাট জেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র সড়ক ভারতীয় তিনবিঘা করিডর গেট দিয়ে অবাধে আনা হচ্ছে অসুস্থ গরুর মাংস। দহগ্রামেই গরু জবাই করে অধিকাংশ রোগাক্রান্ত, অসুস্থ গরুর মাংস এনে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দহগ্রাম ইউনিয়নটি ভারত বেষ্টিত হওয়ায় উভয় দেশের চোরাকারবারীরা সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারতীয় গরু, মহিষ ও অন্যান্য পণ্য পারাপার করে থাকে। অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় রোগাক্রান্ত ও অসুস্থ হরিয়ানা, বোল্ডার (এক ধরনের বড় গরু), রাতের আঁধারে দহগ্রামে এনে কিংবা ভারতেই গরু জবাই করে বাংলাদেশে পাচার করছে। এতে একটি বড় সিন্ডিকেট কাজ করছেন। সেই সিন্ডিকেটকে এজন্য গরু প্রতি ২ হাজার টাকা করে দিতে হয়।

একাধিক মাংস বিক্রেতার দাবি কতিপয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্য, ক্ষমতাসীন দলীয় ব্যক্তি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কতিপয় নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী দাবি করে নির্দিষ্ট হারে টাকা দিয়ে গরুর মাংস পারাপার করা হয়।

তবে সচেতন মহল ও স্থানীয়রা বলছেন, ‘বিভিন্ন অটোভ্যান গাড়িতে ৫-৭ মণ করে গরুর মাংস করিডর গেট দিয়ে পার করতে গাড়ি প্রতি স্থানীয় বিজিবির লাইনম্যানকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। গেটের দুই দিকের দুই ক্যাম্পের লাইনম্যানকে টাকা না দিলে কোনোক্রমেই মাংস গেট দিয়ে পারাপার করতে দেয় না তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত বিজিবি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে দহগ্রাম যাতায়াতের তিনবিঘা করিডর সড়ক দিয়ে এর আগে কখনোই এভাবে গরুর মাংস পারাপার হয়নি। গত প্রায় দুইমাস থেকে ব্যাপক হারে গরুর মাংস পারাপার হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে দহগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জবাই করা মাংস পারপার হতো, কিন্তু গত একমাস থেকে ধরে অনেকটাই কমে এসেছে। সেই সাথে আরও কমবে বলে তিনি জানান।

তবে এ বিষয়ে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার খায়রুল ইসলামের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান জানান, আমি প্রায় সময় গরুর মাংস উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে থাকি, সেই সাথে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা করে অবৈধভাবে ভারতীয় গরুর মাংস নিয়ে আসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজিবি ও জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধও করা হয়েছে। তারপরেও অবৈধভাবে মাংস আনা বন্ধ হচ্ছে না। এ নিয়ে জেলা পর্যায়ে কথা বলে বিজিবিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

অসুস্থ গরুর মাংস যাচ্ছে হাট-বাজারে

আপডেট টাইম : ০৫:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০২২

লালমনিরহাট জেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র সড়ক ভারতীয় তিনবিঘা করিডর গেট দিয়ে অবাধে আনা হচ্ছে অসুস্থ গরুর মাংস। দহগ্রামেই গরু জবাই করে অধিকাংশ রোগাক্রান্ত, অসুস্থ গরুর মাংস এনে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দহগ্রাম ইউনিয়নটি ভারত বেষ্টিত হওয়ায় উভয় দেশের চোরাকারবারীরা সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারতীয় গরু, মহিষ ও অন্যান্য পণ্য পারাপার করে থাকে। অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় রোগাক্রান্ত ও অসুস্থ হরিয়ানা, বোল্ডার (এক ধরনের বড় গরু), রাতের আঁধারে দহগ্রামে এনে কিংবা ভারতেই গরু জবাই করে বাংলাদেশে পাচার করছে। এতে একটি বড় সিন্ডিকেট কাজ করছেন। সেই সিন্ডিকেটকে এজন্য গরু প্রতি ২ হাজার টাকা করে দিতে হয়।

একাধিক মাংস বিক্রেতার দাবি কতিপয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্য, ক্ষমতাসীন দলীয় ব্যক্তি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কতিপয় নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী দাবি করে নির্দিষ্ট হারে টাকা দিয়ে গরুর মাংস পারাপার করা হয়।

তবে সচেতন মহল ও স্থানীয়রা বলছেন, ‘বিভিন্ন অটোভ্যান গাড়িতে ৫-৭ মণ করে গরুর মাংস করিডর গেট দিয়ে পার করতে গাড়ি প্রতি স্থানীয় বিজিবির লাইনম্যানকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। গেটের দুই দিকের দুই ক্যাম্পের লাইনম্যানকে টাকা না দিলে কোনোক্রমেই মাংস গেট দিয়ে পারাপার করতে দেয় না তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত বিজিবি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে দহগ্রাম যাতায়াতের তিনবিঘা করিডর সড়ক দিয়ে এর আগে কখনোই এভাবে গরুর মাংস পারাপার হয়নি। গত প্রায় দুইমাস থেকে ব্যাপক হারে গরুর মাংস পারাপার হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে দহগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জবাই করা মাংস পারপার হতো, কিন্তু গত একমাস থেকে ধরে অনেকটাই কমে এসেছে। সেই সাথে আরও কমবে বলে তিনি জানান।

তবে এ বিষয়ে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার খায়রুল ইসলামের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান জানান, আমি প্রায় সময় গরুর মাংস উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে থাকি, সেই সাথে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা করে অবৈধভাবে ভারতীয় গরুর মাংস নিয়ে আসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজিবি ও জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধও করা হয়েছে। তারপরেও অবৈধভাবে মাংস আনা বন্ধ হচ্ছে না। এ নিয়ে জেলা পর্যায়ে কথা বলে বিজিবিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১