ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলছে দেশসেরা ইনডোরের দরজা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 34

ছবি: নিউজ লাইট ৭১

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী এক মাসের মধ্যেই চালু হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর। দুই বছর আগে কাজ শুরু হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ ও বিপিএলের কারণে কাজ চলেছে ধীরগতিতে। এ কারণেই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি ইনডোরের কাজ। তবে এর মধ্যেই ইনডোরের কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনডোর তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইনডোরের ছাউনিসহ বেশিরভাগ কাজ প্রায় শেষ। জাইকার মাধ্যমে টার্ফও এসে গেছে। ১৪২ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫৮ ফুট প্রস্থের এই ইনডোরে উইকেট থাকবে চারটি।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল সিডিএর। কিন্তু এর এক বছর পরেও সেটি পারেনি সিডিএ।

জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল বলেন, ইনডোরের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে ইনডোরে অনুশীলন করতে পারবেন খেলোয়াড়রা। আমাদের ইনডোরের ছাউনিসহ বেশির ভাগ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।

কাজের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিডিএকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। মাঠে খেলার সময় নিরাপত্তার জন্য কাজ বন্ধ থাকে। মাঠে অনেক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে এবং চলছে।

চট্টগ্রামের সাগরিকা রোডে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে অবস্থিত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম যাত্রা শুরু করেছিল ২০০৪ সালে। সেবারই এখানে বসেছিল আইসিসির অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মর্যাদা পেতে সময় লেগে যায় আরও দুই বছর। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের মধ্যদিয়ে ভেন্যুটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদা পায় এই ‘লাকি ভেন্যু’টি।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

খুলছে দেশসেরা ইনডোরের দরজা

আপডেট টাইম : ০৪:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী এক মাসের মধ্যেই চালু হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর। দুই বছর আগে কাজ শুরু হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ ও বিপিএলের কারণে কাজ চলেছে ধীরগতিতে। এ কারণেই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি ইনডোরের কাজ। তবে এর মধ্যেই ইনডোরের কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনডোর তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইনডোরের ছাউনিসহ বেশিরভাগ কাজ প্রায় শেষ। জাইকার মাধ্যমে টার্ফও এসে গেছে। ১৪২ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫৮ ফুট প্রস্থের এই ইনডোরে উইকেট থাকবে চারটি।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল সিডিএর। কিন্তু এর এক বছর পরেও সেটি পারেনি সিডিএ।

জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল বলেন, ইনডোরের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে ইনডোরে অনুশীলন করতে পারবেন খেলোয়াড়রা। আমাদের ইনডোরের ছাউনিসহ বেশির ভাগ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।

কাজের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিডিএকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। মাঠে খেলার সময় নিরাপত্তার জন্য কাজ বন্ধ থাকে। মাঠে অনেক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে এবং চলছে।

চট্টগ্রামের সাগরিকা রোডে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে অবস্থিত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম যাত্রা শুরু করেছিল ২০০৪ সালে। সেবারই এখানে বসেছিল আইসিসির অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মর্যাদা পেতে সময় লেগে যায় আরও দুই বছর। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের মধ্যদিয়ে ভেন্যুটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদা পায় এই ‘লাকি ভেন্যু’টি।

নিউজ লাইট ৭১