ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরেকটা পদ্মাসেতু করা সম্ভব

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 22

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারের দাম নিয়ে সরকার উভয় সংকটে রয়েছে। ভর্তুকি প্রায় ৪ গুণ বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। সারের ভর্তুকি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ বছর সারে যে পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে, তাতে আরেকটা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। তবে, সরকার প্রণোদনা দিয়ে তা সামাল দেয়ার চেষ্টা করবে। না হলে খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে, যা সরকারের জন্য কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

সারের দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্য সরকারের নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে সারের সংকট নেই । পর্যাপ্ত মজুত আছে। কোনো সংকট হবে না। সারের দাম এখনও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। দাম বাড়ানোর কোনো উদ্দেশ্যও নেই।

ড. রাজ্জাক বলেন, সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ইউরিয়ায় ৮২ টাকা, টিএসপিতে ৫০ টাকা, এমওপিতে ৪১ টাকা এবং ডিএপিতে ৭৯ টাকা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বছর সরকারের ভর্তুকি খাতে বাজেট ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এখন আরও ১৯ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন।

কোভিড পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বে সারের দাম এক বছরে বেড়েছে তিন গুণ। বাংলাদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

আরেকটা পদ্মাসেতু করা সম্ভব

আপডেট টাইম : ০৩:৫২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারের দাম নিয়ে সরকার উভয় সংকটে রয়েছে। ভর্তুকি প্রায় ৪ গুণ বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। সারের ভর্তুকি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ বছর সারে যে পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে, তাতে আরেকটা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। তবে, সরকার প্রণোদনা দিয়ে তা সামাল দেয়ার চেষ্টা করবে। না হলে খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে, যা সরকারের জন্য কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

সারের দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্য সরকারের নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে সারের সংকট নেই । পর্যাপ্ত মজুত আছে। কোনো সংকট হবে না। সারের দাম এখনও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। দাম বাড়ানোর কোনো উদ্দেশ্যও নেই।

ড. রাজ্জাক বলেন, সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ইউরিয়ায় ৮২ টাকা, টিএসপিতে ৫০ টাকা, এমওপিতে ৪১ টাকা এবং ডিএপিতে ৭৯ টাকা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বছর সরকারের ভর্তুকি খাতে বাজেট ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এখন আরও ১৯ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন।

কোভিড পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বে সারের দাম এক বছরে বেড়েছে তিন গুণ। বাংলাদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

নিউজ লাইট ৭১