ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরস্বতী পূজা উদযাপিত

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 30

মাঘ মাসের শীতের সকাল। প্রকৃতিতে শীতল বাতাস হলেও আকাশে ছিল মেঘ ও রোদের লুকোচির খেলা। সজীব সতেজ মনোরম পরিবশে। সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত-অনুরাগী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। 

নতুন রঙিন পোশাক পরিধান করে দল বেঁধে সকলে এসে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে। কেননা আজ স্বরস্বতী পূজা। বিদ্যার দেবী স্বরস্বতী। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে এ পূজার আবেদন আরও অন্যরকম।

বাণী অর্চনা, দেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, অঞ্জলি প্রদান, আরতি, প্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) স্বরস্বতী পূজা উদ্যাপিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পূজা মণ্ডপে উপস্থিত থেকে পূজায় অংশগ্রহণ করেন। সনাতন সংঘের উদ্যোগে এই বাণী অর্চনার আয়োজন করে।

উপাচার্য পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। অঞ্জলি, আরতিসহ নানা কর্মকাণ্ডে সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপাচার্যে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী লীনা চৌধুরীসহ দুইমেয়ে ও একমাত্র ছেলে।

পূজা শেষে  উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা স্বরস্বতীর দেবীকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরাধনা করে থাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও এই পূজা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন ছাত্র ছাত্রী, অধ্যাপক অধ্যাপিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আপামর জনগণ। আমি সবাইকে এত সুন্দর আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের বিদ্যা, সংস্কৃতি ও প্রশান্তি প্রয়োজন। এই তিনটি যদি না থাকে তাহলে বেঁচে থেকে কোন লাভ নেই। আপনারা চারিদিকে দেখছেন বিত্ত বৈভবের কোন শেষ নেই। কিন্তু প্রশান্তির অভাবে মানুষেরা আত্মহননের পথ বেছে নেয়। প্রশান্তি খুব বড় একটা ব্যাপার, যেটি নির্মাণ করতে হয়। সৃষ্টি করতে হয়। যেটি উদযাপন করতে হয়। বিত্ত দিয়ে সবকিছু মাপা যায় না।’

উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘আজকে সারা পৃথিবীতে একই সঙ্গে চলছে বিত্তের বেশাতি আর প্রশান্তির জন্য অন্বেষণ। আমরা কোনদিকে যাব? বিত্তের প্রয়োজন আছে কিন্তু বিত্ত সুখ দিতে পারে না, বিত্ত সার্বিকভাবে আমাদের মুক্তি দিতে পারেনা। তাই বিত্তের পাশাপাশি আমাদের চিত্তের আয়োজনও প্রয়োজন আছে। নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হবে বিত্তের পাশাপাশি চিত্তের আরাধনা, চিত্তের জাগরণ। আমরা বিত্ত এবং চিত্ত দুটোকে একসাথে উদযাপন করতে চাই।’

পূজায় আরো উপস্থিত ছিলেন-রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, অগ্নি-বীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক ড. তপন কুমার সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। প্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে পূজার সমাপ্তি হয়।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

সরস্বতী পূজা উদযাপিত

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মাঘ মাসের শীতের সকাল। প্রকৃতিতে শীতল বাতাস হলেও আকাশে ছিল মেঘ ও রোদের লুকোচির খেলা। সজীব সতেজ মনোরম পরিবশে। সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত-অনুরাগী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। 

নতুন রঙিন পোশাক পরিধান করে দল বেঁধে সকলে এসে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে। কেননা আজ স্বরস্বতী পূজা। বিদ্যার দেবী স্বরস্বতী। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে এ পূজার আবেদন আরও অন্যরকম।

বাণী অর্চনা, দেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, অঞ্জলি প্রদান, আরতি, প্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) স্বরস্বতী পূজা উদ্যাপিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পূজা মণ্ডপে উপস্থিত থেকে পূজায় অংশগ্রহণ করেন। সনাতন সংঘের উদ্যোগে এই বাণী অর্চনার আয়োজন করে।

উপাচার্য পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। অঞ্জলি, আরতিসহ নানা কর্মকাণ্ডে সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপাচার্যে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী লীনা চৌধুরীসহ দুইমেয়ে ও একমাত্র ছেলে।

পূজা শেষে  উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা স্বরস্বতীর দেবীকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরাধনা করে থাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও এই পূজা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন ছাত্র ছাত্রী, অধ্যাপক অধ্যাপিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আপামর জনগণ। আমি সবাইকে এত সুন্দর আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের বিদ্যা, সংস্কৃতি ও প্রশান্তি প্রয়োজন। এই তিনটি যদি না থাকে তাহলে বেঁচে থেকে কোন লাভ নেই। আপনারা চারিদিকে দেখছেন বিত্ত বৈভবের কোন শেষ নেই। কিন্তু প্রশান্তির অভাবে মানুষেরা আত্মহননের পথ বেছে নেয়। প্রশান্তি খুব বড় একটা ব্যাপার, যেটি নির্মাণ করতে হয়। সৃষ্টি করতে হয়। যেটি উদযাপন করতে হয়। বিত্ত দিয়ে সবকিছু মাপা যায় না।’

উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘আজকে সারা পৃথিবীতে একই সঙ্গে চলছে বিত্তের বেশাতি আর প্রশান্তির জন্য অন্বেষণ। আমরা কোনদিকে যাব? বিত্তের প্রয়োজন আছে কিন্তু বিত্ত সুখ দিতে পারে না, বিত্ত সার্বিকভাবে আমাদের মুক্তি দিতে পারেনা। তাই বিত্তের পাশাপাশি আমাদের চিত্তের আয়োজনও প্রয়োজন আছে। নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হবে বিত্তের পাশাপাশি চিত্তের আরাধনা, চিত্তের জাগরণ। আমরা বিত্ত এবং চিত্ত দুটোকে একসাথে উদযাপন করতে চাই।’

পূজায় আরো উপস্থিত ছিলেন-রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, অগ্নি-বীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক ড. তপন কুমার সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। প্রসাদ বিতরণের মধ্যদিয়ে পূজার সমাপ্তি হয়।

নিউজ লাইট ৭১