ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের যে যন্ত্র মিথ্যা বললে বুঝে ফেলবে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 30

সংগৃহীত

ইসরায়েলি গবেষকরা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছে যা কেউ মিথ্যা বললে বুঝে ফেলবে। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়েল হানেইন ও অধ্যাপক ডিনো লেভির নেতৃত্বে যন্ত্রটি পেশী এবং স্নায়ুর গতিবিধি মূল্যায়ন করতে বিশেষ এক ধরনের স্টিকার ব্যবহার করে।

গবেষকরা বলেছেন, এ পদ্ধতি ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা বলা ৭৩ শতাংশ মিথ্যা শনাক্ত করা গিয়েছে। যা কিনা কোনও পরিচিত মিথ্যা শনাক্ত করার পদ্ধতির থেকে বেশি।

এ পদ্ধতি যাচাই করতে তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়েল হানেইন এক নারী সাংবাদিকের মুখের বাম পাশে বেশ কয়েকটি ইলেকট্রোড বা বিদ্যুৎ বাহক আটকে দেন। তারপর বলেন, চোখ সরান, পলক ফেলুন, হাসুন। এখন আরাম করার চেষ্টা করুন। এবার আমরা দেখতে পাব আপনি একজন ভালো মিথ্যাবাদী কিনা খারাপ মিথ্যাবাদী।

প্রযুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেন, দুই ধরনের মিথ্যাবাদীকে তারা চিহ্নিত করেছেন। প্রথমত, যারা ছোট ধরনের মিথ্যা বলে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের ভ্রু নড়াচড়া করে। দ্বিতীয়ত, অন্য ধরনের মিথ্যাবাদীরা ঠোঁটের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং তাদের ঠোঁট গালের সঙ্গে মিলিত হয়। তাদের সফটওয়্যার এবং এর অ্যালগরিদম এখন ৭৩ শতাংশ মিথ্যা শনাক্ত করতে পারে এবং তারা পদ্ধতিটি আরও উন্নত করতে চান।

অধ্যাপক হ্যানিন বলেন, আপনি যখন একটি মিথ্যা লুকানোর চেষ্টা করেন তখন আপনি যে জিনিসগুলো এড়াতে চেষ্টা করেন তার মধ্যে একটি হলো শরীরের প্রতিক্রিয়া।

প্রফেসর লেভি বলেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় মিথ্যা গোপন করা খুব কঠিন।

এর আগে বিশ শতকের প্রথম দিকে সর্বপ্রথম মিথ্যা শনাক্তকরণ যন্ত্র বা পলিগ্রাফের আবিস্কার হয়। এরপর আরও কয়েকটি মিথ্যা শনাক্তকরণ মেশিন আবিষ্কার করে গবেষকরা। তবে এই মেশিনগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

ইসরায়েলের যে যন্ত্র মিথ্যা বললে বুঝে ফেলবে

আপডেট টাইম : ০৫:২০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ইসরায়েলি গবেষকরা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছে যা কেউ মিথ্যা বললে বুঝে ফেলবে। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়েল হানেইন ও অধ্যাপক ডিনো লেভির নেতৃত্বে যন্ত্রটি পেশী এবং স্নায়ুর গতিবিধি মূল্যায়ন করতে বিশেষ এক ধরনের স্টিকার ব্যবহার করে।

গবেষকরা বলেছেন, এ পদ্ধতি ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা বলা ৭৩ শতাংশ মিথ্যা শনাক্ত করা গিয়েছে। যা কিনা কোনও পরিচিত মিথ্যা শনাক্ত করার পদ্ধতির থেকে বেশি।

এ পদ্ধতি যাচাই করতে তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়েল হানেইন এক নারী সাংবাদিকের মুখের বাম পাশে বেশ কয়েকটি ইলেকট্রোড বা বিদ্যুৎ বাহক আটকে দেন। তারপর বলেন, চোখ সরান, পলক ফেলুন, হাসুন। এখন আরাম করার চেষ্টা করুন। এবার আমরা দেখতে পাব আপনি একজন ভালো মিথ্যাবাদী কিনা খারাপ মিথ্যাবাদী।

প্রযুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেন, দুই ধরনের মিথ্যাবাদীকে তারা চিহ্নিত করেছেন। প্রথমত, যারা ছোট ধরনের মিথ্যা বলে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের ভ্রু নড়াচড়া করে। দ্বিতীয়ত, অন্য ধরনের মিথ্যাবাদীরা ঠোঁটের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং তাদের ঠোঁট গালের সঙ্গে মিলিত হয়। তাদের সফটওয়্যার এবং এর অ্যালগরিদম এখন ৭৩ শতাংশ মিথ্যা শনাক্ত করতে পারে এবং তারা পদ্ধতিটি আরও উন্নত করতে চান।

অধ্যাপক হ্যানিন বলেন, আপনি যখন একটি মিথ্যা লুকানোর চেষ্টা করেন তখন আপনি যে জিনিসগুলো এড়াতে চেষ্টা করেন তার মধ্যে একটি হলো শরীরের প্রতিক্রিয়া।

প্রফেসর লেভি বলেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় মিথ্যা গোপন করা খুব কঠিন।

এর আগে বিশ শতকের প্রথম দিকে সর্বপ্রথম মিথ্যা শনাক্তকরণ যন্ত্র বা পলিগ্রাফের আবিস্কার হয়। এরপর আরও কয়েকটি মিথ্যা শনাক্তকরণ মেশিন আবিষ্কার করে গবেষকরা। তবে এই মেশিনগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১