সরকারি খাস জমি ভরাটের হিড়িক
- আপডেট টাইম : ০৫:১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / 30
ময়মনসিংহের ত্রিশালের বালিপাড়া ইউনিয়নের বালিপাড়া বালুর মোড় এলাকা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জমি পিছনের জায়গার অজুহাতে সামনের জায়গা ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এই ব্যস্তময়সড়ক দিয়ে নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, সিলেট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার কিশোরগঞ্জ সহদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা বালিপাড়া পয়েন্টে সংলগ্ন সরকারি খাস জমিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকানপাট। স্থানীয় বেশ কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সরকারি জায়গায় দোকানপাট নির্মাণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ এর প্রতিবাদ করতে গেলে সাধারণ ঝগড়া থেকে শুরু করে ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। অবৈধ স্থাপনা তৈরি করার কারণে পয়েন্ট এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত কোন যানবাহন পার্কিং ব্যবস্থা নেই। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে হচ্ছে। যার কারণে পয়েন্ট এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরকারি জায়গায় মাটি ভরাট করার অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের ছেলে রুবেল জানান, সামনে আমাদের জমি ছিল সরকার এ্যাকুয়ার করে নিয়ে গেছে। ১২ শতাংশ জমি পিছনে এখনো আছে। ঐ জায়গায় যাইতে হইলে আমার সামনে জায়গা ভরাট করে যাইতে হবে। সরকারি জায়গায় মাটি ভরাট কোন অনুমতি না থাকলেও পিছনের জায়গায় যাতায়াতের জন্য তারা মাটি ভরাট করেছেন বলে জানান।
এ ছাড়াও বালিপাড়া পয়েন্ট এলাকায় সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে সরকারি জমি ভরাট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। লতিফা খাতুন নামে অপর একজন বালুর মাঠ এলাকায় সরকারি জমি ভরাট করতে দেখা গেছে। লতিফা খাতুন জানান ১৪ শতাংশ জমি সরকারি একোয়ার চলে গেছে। পিছনে আমার ৩৪ শতাংশ জমি আছে। তাই আমি সামনের সরকারি জায়গা ভরাট করছি। এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র ব্রিজের কাছে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এর ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের আমার কথা হয়েছে।
নিউজ লাইট ৭১