ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যা চারজনই পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 98

নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: ভারতের হায়দরাবাদে এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনই পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার পত্রিকাসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে।

সূত্রগুলো বলছে, তদন্তের জন্য পুলিশ অভিযুক্ত চারজনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তারা পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার জানান, ধর্ষিতা প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে পুড়িয়ে দেয়ার স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের। সেখানে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত আরিফ, নবীন, শিবা ও চেন্নাকেশাভুলু পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার পথে শাদনগরে চাতানপল্লিতে থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। শুক্রবার রাত তিনটা থেকে ভোর ছয়টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।’

প্রসঙ্গত, ২৮ নভেম্বর রাতে ধর্ষণের শিকার হন হায়দরাবাদের তরুণী পশু চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি। তিনি একটি টুল-বুথের কাছে স্কুটার রেখে গিয়েছিলেন।

অভিযুক্তরা ইচ্ছাকৃত তার স্কুটারের টায়ার পাংচার করে দিয়ে ও তার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। প্রিয়াঙ্কা ফিরে এসে স্কুটারের এমন অবস্থা দেখার পর ওই চারজন তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। এরপরেই এই নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘটে।

প্রথমে চারজনে মিলে প্রিয়াঙ্কাকে ধর্ষণ করে, পরে ঘটনার আলামত নষ্ট করতে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয় তারা। অভিযুক্তরা ছিল পেশায় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপার।

এই ঘটনা ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও শিরোনাম হয়ে উঠে।

Tag :

শেয়ার করুন

পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যা চারজনই পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

আপডেট টাইম : ০৪:০৮:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: ভারতের হায়দরাবাদে এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনই পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার পত্রিকাসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে।

সূত্রগুলো বলছে, তদন্তের জন্য পুলিশ অভিযুক্ত চারজনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তারা পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার জানান, ধর্ষিতা প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে পুড়িয়ে দেয়ার স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের। সেখানে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত আরিফ, নবীন, শিবা ও চেন্নাকেশাভুলু পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার পথে শাদনগরে চাতানপল্লিতে থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। শুক্রবার রাত তিনটা থেকে ভোর ছয়টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।’

প্রসঙ্গত, ২৮ নভেম্বর রাতে ধর্ষণের শিকার হন হায়দরাবাদের তরুণী পশু চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি। তিনি একটি টুল-বুথের কাছে স্কুটার রেখে গিয়েছিলেন।

অভিযুক্তরা ইচ্ছাকৃত তার স্কুটারের টায়ার পাংচার করে দিয়ে ও তার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। প্রিয়াঙ্কা ফিরে এসে স্কুটারের এমন অবস্থা দেখার পর ওই চারজন তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। এরপরেই এই নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘটে।

প্রথমে চারজনে মিলে প্রিয়াঙ্কাকে ধর্ষণ করে, পরে ঘটনার আলামত নষ্ট করতে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয় তারা। অভিযুক্তরা ছিল পেশায় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপার।

এই ঘটনা ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও শিরোনাম হয়ে উঠে।