ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবপাচার মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি জঘন্য রূপ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / 34

শুধু আইন দিয়ে মানবপাচারের মতো অপরাধ দমন বা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এজন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

তিনি বলেছেন, মানবপাচার মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি জঘন্য রূপ। এটি বিশ্বের সর্বত্র ঘটে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে মানবপাচার, প্রাসঙ্গিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন এবং বিচার নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মানবপাচার সংগঠিত অপরাধের একটি প্রধান রূপ হয়ে উঠেছে এবং তা সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এটি আধুনিক দাসপ্রথার একটি নতুন ধারা যেখানে নারী, পুরুষ ও শিশুদের নির্যাতন ও শোষণের শিকার করে পাচারকারীরা লাভবান হয়।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানবপাচারের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মানবপাচারের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিশেষ আইন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে এবং সেগুলোতে বিচারক এবং প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী আরও জানান, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি কাজ করছে। মানবপাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে একটি মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে।

কর্মশালায় মানবপাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২৩ জন বিচারক অংশগ্রহণ করেন।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

মানবপাচার মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি জঘন্য রূপ

আপডেট টাইম : ০৮:১৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

শুধু আইন দিয়ে মানবপাচারের মতো অপরাধ দমন বা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এজন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

তিনি বলেছেন, মানবপাচার মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি জঘন্য রূপ। এটি বিশ্বের সর্বত্র ঘটে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে মানবপাচার, প্রাসঙ্গিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন এবং বিচার নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মানবপাচার সংগঠিত অপরাধের একটি প্রধান রূপ হয়ে উঠেছে এবং তা সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এটি আধুনিক দাসপ্রথার একটি নতুন ধারা যেখানে নারী, পুরুষ ও শিশুদের নির্যাতন ও শোষণের শিকার করে পাচারকারীরা লাভবান হয়।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানবপাচারের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মানবপাচারের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিশেষ আইন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে এবং সেগুলোতে বিচারক এবং প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী আরও জানান, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি কাজ করছে। মানবপাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে একটি মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে।

কর্মশালায় মানবপাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২৩ জন বিচারক অংশগ্রহণ করেন।

নিউজ লাইট ৭১