ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওমিক্রনের সঙ্গে লড়তে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
  • / 19

ছবি: নিউজ লাইট ৭১

করোনা ও করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নতুন করে আতঙ্কিত করে তুলেছে বিশ্ববাসীকে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডায়েটের দিকে অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে। কিন্তু যারা এখনও করোনায় আক্রান্ত হননি, তাদেরও বেশি করে প্ল্যানড ডায়েটের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কারণ সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে এই ধরনের ডায়েটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জেনে নেয়া যাক পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের মতানুযায়ী কোন খাবার এই সময়ে ডায়েটে রাখা জরুরি।

ভিটামিন ও মিনারেল: 

এই সময়ে বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীর থেকে তাই টক্সিন দূর করতে হবে। শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের জোগানও দিতে হবে। এ কাজে ডাবের পানি, লাস্যি, ঘোল, কমলালেবুর রস এবং পানির কোনও বিকল্প নেই।

প্রোটিন: 

বাড়াতে হবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারর গ্রহণের মাত্রা। প্রোটিন ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতিতে সাহায্য করে এবং ইমিউনিটি বাড়ায়। এজন্য বাদাম, ডাল, দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাংস, মাছের মতো প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে।

তুলসী, আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ:

 শীতকালে সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে পারে এমন বেশ কিছু উপকরণ রয়েছে, যেমন– তুলসী, আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, রসুন। খালি পেটে এগুলি খাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি-সম্বৃদ্ধ খাবার: 

 খেতে হবে ভিটামিন ডি-সম্বৃদ্ধ খাবার। কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় খেতে হবে মাশরুম, ডিমের কুসুম, দই বা অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার।

ভিটামিন সি-সম্বৃদ্ধ খাবার:

 খেতে হবে ভিটামিন সি-সম্বৃদ্ধ খাবার। ভিটামিন সি ইমিউনিটি বাড়ানোর সব চেয়ে ভালো উৎস। করোনায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই লেবু জাতীয় ফল, সবুজ শাক-সবজি, পেয়ারা, কিউই, ব্রকোলি, স্ট্রবেরি, পেঁপে খাওয়া উচিত।

জিঙ্ক সম্বৃদ্ধ খাবার:

পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেররা বলছেন এই সময়ে জিঙ্ক সম্বৃদ্ধ খাবার খাওয়াও জরুরি। কুমড়ো বীজ, কাজু, কাবলি চানা এবং কিছু কিছু মাছ (যাতে জিঙ্ক রয়েছে) ডায়েটে রাখতে হবে। এই সব খাবার আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জোগান দেয়।

নিউজ লাইট ৭১

 

 

Tag :

শেয়ার করুন

ওমিক্রনের সঙ্গে লড়তে

আপডেট টাইম : ০১:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

করোনা ও করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নতুন করে আতঙ্কিত করে তুলেছে বিশ্ববাসীকে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডায়েটের দিকে অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে। কিন্তু যারা এখনও করোনায় আক্রান্ত হননি, তাদেরও বেশি করে প্ল্যানড ডায়েটের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কারণ সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে এই ধরনের ডায়েটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জেনে নেয়া যাক পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের মতানুযায়ী কোন খাবার এই সময়ে ডায়েটে রাখা জরুরি।

ভিটামিন ও মিনারেল: 

এই সময়ে বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীর থেকে তাই টক্সিন দূর করতে হবে। শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের জোগানও দিতে হবে। এ কাজে ডাবের পানি, লাস্যি, ঘোল, কমলালেবুর রস এবং পানির কোনও বিকল্প নেই।

প্রোটিন: 

বাড়াতে হবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারর গ্রহণের মাত্রা। প্রোটিন ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতিতে সাহায্য করে এবং ইমিউনিটি বাড়ায়। এজন্য বাদাম, ডাল, দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাংস, মাছের মতো প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে।

তুলসী, আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ:

 শীতকালে সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে পারে এমন বেশ কিছু উপকরণ রয়েছে, যেমন– তুলসী, আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, রসুন। খালি পেটে এগুলি খাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি-সম্বৃদ্ধ খাবার: 

 খেতে হবে ভিটামিন ডি-সম্বৃদ্ধ খাবার। কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় খেতে হবে মাশরুম, ডিমের কুসুম, দই বা অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার।

ভিটামিন সি-সম্বৃদ্ধ খাবার:

 খেতে হবে ভিটামিন সি-সম্বৃদ্ধ খাবার। ভিটামিন সি ইমিউনিটি বাড়ানোর সব চেয়ে ভালো উৎস। করোনায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই লেবু জাতীয় ফল, সবুজ শাক-সবজি, পেয়ারা, কিউই, ব্রকোলি, স্ট্রবেরি, পেঁপে খাওয়া উচিত।

জিঙ্ক সম্বৃদ্ধ খাবার:

পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেররা বলছেন এই সময়ে জিঙ্ক সম্বৃদ্ধ খাবার খাওয়াও জরুরি। কুমড়ো বীজ, কাজু, কাবলি চানা এবং কিছু কিছু মাছ (যাতে জিঙ্ক রয়েছে) ডায়েটে রাখতে হবে। এই সব খাবার আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জোগান দেয়।

নিউজ লাইট ৭১