ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভৈরবে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ইজ্জত লুট

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:২১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 117

নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: ভৈরবে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ইজ্জত লুটের মামলার পলাতক আসামি ইমন মিয়া (২২) নামে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ইমন শহরের পঞ্চবটি বউবাজার এলাকার গোলাপ মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।

রোববার রাতে পুলিশ ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে আটক করে সোমবার দুপুরে আটককৃতকে কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে । এর আগে এ মামলার অপর আসামি আশিক (২০) নামে আরেক জনকে আটক করে। মামলার প্রধান আসামিসহ এখনো ২ জন ধরা ছোয়ার বাইরে।

পুলিশ ও মামলার এজাহারে জানাযায়, ভৈরবপুর নাটাল টোলপ্লাজা এলাকায় অবস্থিত ভৈরবপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন কমিশনারের বাড়ির ভাড়াটিয়া হালিমা সাদিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ডালিয়া আক্তার মিম এর সাথে পঞ্চবটি এলাকার রনির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সম্পর্কের জের ধরে রনি তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৬ জুন রাত সাড়ে দশটার দিকে শহরের ভৈরবপুরে অবস্থিত কাশফুল কিন্ডার গার্টেনের ১টি রুমে আটকিয়ে রেখে রনি ও তার ৩ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ইজ্জত লুট করে। ধর্ষণের ১ পর্যায়ে মিম অজ্ঞান হয়ে পড়লে ধর্ষণকারিরা পালিয়ে যায়।

পরে জ্ঞান ফিরে এলে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় মিমের মা সাজেদা বেগম বাদী হয়ে পরদিন ভৈরব থানায় রনিকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্ল্যেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে আটককৃত ইমনের মা পারুল বেগম দাবি করেন তার পুত্র ও ১ ভাইকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তারা ঘটনার সাথে জড়িত নয়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, মেডিক্যাল রিপোর্টে একাধিক ব্যক্তি পালাক্রমে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাছাড়া ইজ্জত লুটের ঘটনায় ইমন জড়িত বলে ও তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে ।

Tag :

শেয়ার করুন

ভৈরবে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ইজ্জত লুট

আপডেট টাইম : ১১:২১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: ভৈরবে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ইজ্জত লুটের মামলার পলাতক আসামি ইমন মিয়া (২২) নামে ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ইমন শহরের পঞ্চবটি বউবাজার এলাকার গোলাপ মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।

রোববার রাতে পুলিশ ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে আটক করে সোমবার দুপুরে আটককৃতকে কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে । এর আগে এ মামলার অপর আসামি আশিক (২০) নামে আরেক জনকে আটক করে। মামলার প্রধান আসামিসহ এখনো ২ জন ধরা ছোয়ার বাইরে।

পুলিশ ও মামলার এজাহারে জানাযায়, ভৈরবপুর নাটাল টোলপ্লাজা এলাকায় অবস্থিত ভৈরবপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন কমিশনারের বাড়ির ভাড়াটিয়া হালিমা সাদিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ডালিয়া আক্তার মিম এর সাথে পঞ্চবটি এলাকার রনির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সম্পর্কের জের ধরে রনি তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৬ জুন রাত সাড়ে দশটার দিকে শহরের ভৈরবপুরে অবস্থিত কাশফুল কিন্ডার গার্টেনের ১টি রুমে আটকিয়ে রেখে রনি ও তার ৩ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ইজ্জত লুট করে। ধর্ষণের ১ পর্যায়ে মিম অজ্ঞান হয়ে পড়লে ধর্ষণকারিরা পালিয়ে যায়।

পরে জ্ঞান ফিরে এলে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় মিমের মা সাজেদা বেগম বাদী হয়ে পরদিন ভৈরব থানায় রনিকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্ল্যেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে আটককৃত ইমনের মা পারুল বেগম দাবি করেন তার পুত্র ও ১ ভাইকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তারা ঘটনার সাথে জড়িত নয়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, মেডিক্যাল রিপোর্টে একাধিক ব্যক্তি পালাক্রমে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাছাড়া ইজ্জত লুটের ঘটনায় ইমন জড়িত বলে ও তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে ।