বিচারকের মুখে রায় শুনে কাঠগড়ায় থাকা পাঁচ আসামি বলে উঠেন আলহামদুলিল্লাহ
- আপডেট টাইম : ১০:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১
- / 38
বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সাফাতসহ পাঁচজন খালাস পেয়েছেন। এসময় বিচারকের মুখে রায় শুনে কাঠগড়ায় থাকা পাঁচ আসামি বলে উঠেন আলহামদুলিল্লাহ।
বৃহস্পতিবার(১১ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত তাদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আসামিরা বলেন, সত্যের জয় হয়েছে।
এসময় কাঠগড়ায় দাড়িয়ে থাকা পাঁচ আসামি আলহামদুলিল্লাহ বলেন। এরপর তারা বিচারককে উদ্দেশ করে সালাম দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নেওয়ার জন্য পুলিশকে পরামর্শ দেন বিচারক।
দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত জানিয়ে বিচারক বলেন, এ বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এসময় ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায় তা না নেওয়ার পরামর্শ দেন বিচারক।
পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, এ মামলায় আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। অহেতুক প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক অসুস্থ থাকায় পরবর্তী রায় ঘোষণার জন্য ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। কিন্তু ওইদিন সিনিয়র আইনজীবী বাসেত মজুমদার মারা যাওয়ায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে রায় ঘোষণার জন্য আজকের (১১ নভেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছিল তারা হলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম।
নিউজ লাইট ৭১