১৮ প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পাচ্ছে
- আপডেট টাইম : ১০:০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 115
নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পাচ্ছে একটি বেসরকারি ব্যাংকসহ ১৮টি প্রতিষ্ঠান। প্রত্যেককে সাময়িকভাবে দুই বছরের জন্য এই লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। এ সময়ে তাদের সার্বিক পারফরম্যান্স সন্তোষজনক হলে পরবর্তীতে লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।
আজ রবিবার বিকেল ৪টায় মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে লাইসেন্সের অনুমোদন কপি হস্তান্তর করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. খুরশীদ ওয়াহাব। এ সময় একই বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
দেশে অভ্যন্তরীণ বাজারে বার্ষিক যে স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে, তার কয়েক গুণ বেশি চাহিদা রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। সে দেশে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ১৪টি। এর মধ্যে ব্যাংক আছে চারটি। সেটি বিবেচনায় নিয়ে যোগ্যতার বিচারে এগিয়ে থাকা ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রথম ধাপে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যাচাই-বাছাই করে প্রথম ধাপে আমরা ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে বাস্তবতার নিরিখে ভবিষ্যতে যদি আমরা দেখি এই ১৮টা প্রয়োজনের তুলনায় কম, তাহলে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। যদিও আমরা মনে করছি দেশে স্বর্ণের যে বার্ষিক চাহিদা রয়েছে, সেটা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করার জন্য এই ১৮ প্রতিষ্ঠানই যথেস্ট।’
স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্সের জন্য যে ১৮টি প্রতিষ্ঠান প্রথম ধাপে মনোনীত হয়েছে সেগুলোর নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ তালিকায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, আমিন জুয়েলার্স, ভেনাস জুয়েলার্স ও শারমিন জুয়েলার্সের মতো প্রতিষ্ঠানের নাম আছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া একমাত্র ব্যাংক হিসেবে রয়েছে বেসরকারি খাতের মধুমতি ব্যাংক।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের জানিয়েছে যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম ধাপে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্সের জন্য মনোনীত করেছে। রবিবার বিকেলে লাইসেন্সের অনুমোদন কপি নিতে মনোনীতদের বাংলাদেশ ব্যাংকে উপস্থিত থাকতে বলেছে।’
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বার্ষিক প্রায় ১৫ থেকে ২০ মেট্রিক টন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ না থাকায় এর সিংহভাগ পূরণ হচ্ছে চোরাচালানের মাধ্যম আসা স্বর্ণ দিয়েই। এতে প্রতিবছর বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে গত বছরের অক্টোবরে স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ওই নীতিমালার আওতায় স্বর্ণ আমদানির ডিলারশিপের লাইসেন্স দিতে চলতি বছরের ১৯ মার্চ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগ্রহীদের অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে সারা দেশ থেকে ৪৭টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে দুটি ব্যাংকও আবেদন করে। ব্যাংক দুটি হলো-মধুমতি ও পদ্মা ব্যাংক। এ ছাড়া বাকি সবই ছিল প্রতিষ্ঠান।