ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে বন বিভাগের অভিযানে জলময়ূর বেগুনি কালেম পাতি সরালিসহ ২০১টি পাখি উদ্ধার!

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
  • / 84

রাজশাহীতে বন বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে দুই ব্যক্তির কথিত খামার থেকে জলময়ূর, বেগুনি কালেম, পাতি সরালি ও ডাহুক পাখি উদ্ধার করেছেন। গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়।

পাখিগুলো নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের গাজিয়ার রহমান ও জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা গাজিয়ার রহমানকে ২০ হাজার এবং জাহিদুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

পাখিগুলোর মধ্যে ২টি জলময়ূর, ১৯২টি বেগুনি কালেম, ৬টি পাতি সরালি ও ১টি ধলা বুক ডাহুক রয়েছে।

রাজশাহী বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, গাজিয়ার ও জাহিদুল নিজেদের খামারি পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে পাখি নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ফেসবুকের এই পোস্ট দেখে তিনি বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষক রাহাত হোসেন ও দুজন বন্য প্রাণী স্কাউটকে নিয়ে দুর্গাপুর গ্রামে অভিযান চালান। প্রথমে গাজিয়ারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে বাড়িতেই পান। কিন্তু বন বিভাগের অভিযানের খবর পেয়ে জাহিদুল পালিয়ে যান। রাত প্রায় সাড়ে নয়টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, তখন তাঁর বাড়ি থেকে পাখিগুলো উদ্ধার এবং তাঁদের দুজনকে জরিমানা করা হয়।

পাখিগুলো উদ্ধারের পর রাতেই রাজশাহী বন্য প্রাণী উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। কিছু পাখি অসুস্থ। সংরক্ষণ কেন্দ্রে তাদের চিকিৎসা ও পরিচর্যা করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তাদের প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১/মোঃ রকিবুজ্জামান রকি

Tag :

শেয়ার করুন

রাজশাহীতে বন বিভাগের অভিযানে জলময়ূর বেগুনি কালেম পাতি সরালিসহ ২০১টি পাখি উদ্ধার!

আপডেট টাইম : ০৭:৫২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১

রাজশাহীতে বন বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে দুই ব্যক্তির কথিত খামার থেকে জলময়ূর, বেগুনি কালেম, পাতি সরালি ও ডাহুক পাখি উদ্ধার করেছেন। গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়।

পাখিগুলো নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের গাজিয়ার রহমান ও জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা গাজিয়ার রহমানকে ২০ হাজার এবং জাহিদুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

পাখিগুলোর মধ্যে ২টি জলময়ূর, ১৯২টি বেগুনি কালেম, ৬টি পাতি সরালি ও ১টি ধলা বুক ডাহুক রয়েছে।

রাজশাহী বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, গাজিয়ার ও জাহিদুল নিজেদের খামারি পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে পাখি নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ফেসবুকের এই পোস্ট দেখে তিনি বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষক রাহাত হোসেন ও দুজন বন্য প্রাণী স্কাউটকে নিয়ে দুর্গাপুর গ্রামে অভিযান চালান। প্রথমে গাজিয়ারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে বাড়িতেই পান। কিন্তু বন বিভাগের অভিযানের খবর পেয়ে জাহিদুল পালিয়ে যান। রাত প্রায় সাড়ে নয়টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, তখন তাঁর বাড়ি থেকে পাখিগুলো উদ্ধার এবং তাঁদের দুজনকে জরিমানা করা হয়।

পাখিগুলো উদ্ধারের পর রাতেই রাজশাহী বন্য প্রাণী উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। কিছু পাখি অসুস্থ। সংরক্ষণ কেন্দ্রে তাদের চিকিৎসা ও পরিচর্যা করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তাদের প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১/মোঃ রকিবুজ্জামান রকি