ঐতিহাসিক নিদর্শন তবে এভাবেই কি মুছে যাবে
- আপডেট টাইম : ০৭:২১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
- / 31
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া জনপদে মিরুখালী রায় জমিদার বাড়ি, সাপলেজা কুঠি বাড়ির মতোন ঐতিহাসিক স্থাপনাসহ আরও কিছু প্রাচীন স্থাপনার ইতিহাস এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত৷
অথচ সেগুলো প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিনত, যেন এগুলো দেখার কেউ নেই৷ ঐতিহাসিক নিদর্শন তবে এভাবেই কি মুছে যাবে।
উল্লেখ্য যে, মিরুখালীর সম্ভ্রান্ত রায় বাড়ির (কুলু বাড়ি) ২০০ বছরেরে পুরানো জমিদারি আমলের মূল স্থাপনাটি ধসে পড়ে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে। মূল ভবনের সামনের বিশাল অংশ জুড়ে বিধ্বস্ত হয়।
জমিদারি আমলের এ বাড়িতে নানা কিংবদন্তী আজও জনশ্রুতি হয়ে ফেরে। এখানে রয়েছে কারুকার্যখচিত দুটি বিশালাকৃতির অট্টালিকা, দুর্গামন্দির, মঠ, অন্ধকার কূপ। অন্ধকার কূপে অপরাধী প্রজাদের শাস্তি দেয়ার গল্পে আজও এখানকার মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত।
কুলু বংশের বংশধর পংকজ রায় জানান, কুলবাড়ির মতো এ অঞ্চলে স্থাপনা দ্বিতীয়টি নেই। প্রাচীন নিদর্শন হলেও এখন বংশগতভাবে এসব স্থাপনা সংস্কার ও সুরক্ষার তেমন সঙ্গতি আমাদের নেই।
মিরুখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান শরিফ জানান, যদি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রক্ষণাবেক্ষণ করে তবে মিরুখালীর এ বাড়িটি হতে পারে দর্শনীয় স্থান। আমরা চেষ্টা করব যাতে ওপর মহলের নজরে আসে বিষয়টি।
সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে আরেক ঐতিহাসিক নিদর্শন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার সাপলেজার প্রত্নসম্পদ সাপলেজা কুঠিবাড়ি। বর্তমানে কুঠিবাড়ির ৩টি ভবন সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
জরুরি সংস্কার করা না হলে মূল ভবনটিও সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আঠারো শতকের গোড়ায় জনৈক ইংরেজ জমিদার এডওয়ার্ড প্যারি ক্যাসপার এ কুঠিবাড়ি নির্মাণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, সরকার কুঠিবাড়ির মালিকানা নিলেও এর রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলো আজ ধংসস্তুপে পরিনত। অথচ রাষ্ট্রের প্রত্নত্বত্ত বিভাগ থাকা সত্বেও অযত্ন অবহেলায় দেশিয় ঐতিহ্য এভাবে ধংসস্তুপে পরিনত হচ্ছে।
স্থানীয় সাংবাদিক দেবদাস মজুমদার আক্ষেপ নিয়ে বলেন, এ নিয়ে সাংবাদিকতা জীবনে বহু লেখালেখি করেছি যাতে এসব দেশিয় ঐতিহ্য যাতে টিকে থাকে কালান্তর। তবে আজও রাষ্ট্র এ নিদর্শনের দেখভাল করেনি। এটি দুঃখজনক।
নিউজ লাইট ৭১