জীবনধারা বদলে যাচ্ছে
- আপডেট টাইম : ০৯:২১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
- / 118
নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক- সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইডটকো তাদের টাওয়ার টু কমিউনিটি (টি২সি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং মালয়েশিয়ার গ্রামীণ জনপদের ৩৫০০-এর বেশি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করছে।
ইডটকো টাওয়ার পরিচালনার পর অবশিষ্ট যে বিদ্যুৎ থাকে, তা দিয়ে টাওয়ারের নিকটবর্তী এলাকার বসতবাড়িতে বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। টাওয়ার পরিচালনার জন্য ইডটকো ডিজেল জেনারেটর এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার করে এবং এখান থেকেই আসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ।
ইডটকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুরেশ সিধু বলেন, “ইডটকো বিশ্বাস করে, শুধুমাত্র টাওয়ার প্রতিষ্ঠা করার মধ্যেই আমাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ নয়। তাই আমরা ইডটকো টাওয়ারের কাছাকাছি বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে চাই। বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের বিভিন্ন প্রকল্পে আমরা এ লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। ‘টাওয়ার টু কমিউনিটি’ প্রকল্পটি ব্যবসায়ের বাইরেও সামাজিক উন্নয়নে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও অগ্রাধিকারের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়। ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে বৈদ্যুতিক সুবিধা পাচ্ছে এমন মানুষের হার যথাক্রমে ৮৮ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ। কিন্তু এখনো কিছু জনগোষ্ঠী রয়েছে, যারা জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত না হওয়ার কারণে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্ছিত হয়।”
২০১৬ সালে ইডটকোর ‘টাওয়ার টু কমিউনিটি’ প্রকল্পটি চালু হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল টাওয়ারের আশপাশে বসবাসকারী মানুষদের বৈদ্যুতিক সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা। বর্তমানে বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং মালয়েশিয়ায় ইডটকোর এ রকম ৩২টি সাইট রয়েছে, যার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্ছিত মানুষজন উপকৃত হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৬টির বেশি স্থানে ১০২০টি বাড়িতে বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান করেছে ইডটকো। এ ছাড়া ইডটকো যাদুরহাট এবং নীলফামারীতে সৌরবিদ্যুত চালিত পানির পাম্প স্থাপন করেছে. যার মাধ্যমে এসব এলাকার ৩০টি পরিবারের বেশি সদস্য বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা পাচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে একটি হাসপাতাল, ৩০টি মসজিদ এবং ২৮টি স্কুলে বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। মিয়ানমারের ক্ষেত্রে টি২সি প্রকল্পের আওতায় দুর্গম সব এলাকায় হেপাটাইটিস বি, বিসিজি, হাম এবং পোলিও টিকা সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেশন সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উপকার পাচ্ছে ২০০০-এর বেশি পরিবার।
এ প্রসঙ্গে সুরেশ আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আপনি ততটাই উত্তম যতটা আপনি সমাজের কল্যাণে ফিরিয়ে দেবেন। তাই আমরা এমনভাবে কাজ করতে চেষ্টা করি যেন আমাদের কার্যক্রমগুলো দায়িত্বশীল এবং টেকসইভাবে পরিচালনা করা যায়’ যোগ করেন সুরেশ।
কমিউনিটি প্রকল্পের পাশাপাশি ইডটকো টেকসই স্থায়িত্বের ব্যাপারেও গুরুত্ব প্রদান করে। এই নীতির আলোকে ইডটকোর সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং আধুনিক টেলিকমিউনিকেশন অবকাঠামো-গুলোর পরিবেশবান্ধবকতা নিশ্চিত করা হয়।