এরশাদের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি: জিএম কাদের
- আপডেট টাইম : ০৩:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯
- / 116
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, ‘ ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তিনি কালকে (শনিবার) যেরকম ছিল, সেরকমই আছে। অবস্থার অবনতি হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সামান্য উন্নতি হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এসব তথ্য জানান।
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, আজও পল্লীবন্ধুর ডায়ালাইসিস চলছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচের চিকিৎসকরা পল্লীবন্ধুকে বিশ্বমানের চিকিৎসা দিচ্ছেন। অত্যাধুনিক হেমো পারফিউশন এবং হেমো ডায়া ফিল্টারেশন এর মাধ্যমে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রক্ত থেকে অপ্রয়োজনীয় পানি, বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এরশাদের শ্বাস-প্রশ্বাসসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ কৃত্রিমভাবে সচল রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন, ধীরে ধীরে পল্লীবন্ধুর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
এরশাদের চিকিৎসায় রক্তদাতাদের হাসপাতালে ভিড় করার বিষয়টি উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধুর রক্ত প্রয়োজন এমন সংবাদে হাজারো মানুষ সিএমএইচ-এ লাইন দিয়েছিলেন। অনেকেই রক্ত দিয়েছেন আবার অনেকেই রক্ত দেয়ার জন্য তালিকাভূক্ত হয়েছেন। পল্লীবন্ধুর জন্য সাধারণ মানুষের এই ভালোবাসায় আমরা কৃতজ্ঞ। এছাড়া গত শুক্রবার সারোদেশের সব মসজিদ এবং মন্দিরে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোগমুক্তি এবং সুস্থতা কামনা দোয়া অনুষ্ঠানের জন্যও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানান। তিনিও দেশবাসীর কাছে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোগমুক্তি এবং সুস্থতা কামনা দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোগমুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করে জাতীয় ওলামা পার্টি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতী, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা ড. নুরুল আজাহার, ভাইস চেয়ারম্যান- নুরুল ইসলাম নুরু, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, যুগ্ম মহাসচিব- হাসিবুল ইসলাম জয়, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ইসাহাক ভূঁইয়া, মো. জসীম উদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, মো. বেলাল হোসেন, এম এ রাজ্জাক খান, সুমন আশরা, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মহিবুল্লাহ, আব্দুল বাতেন, মাসুদুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, আনোয়ার হোসেন তোতা।
২৬ জুন এরশাদকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪ জুলাই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। শুক্রবার ও রোববার তার কিডনীর ডায়ালাসিস করানো হয়।