ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগ্রহ বাড়ছে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১
  • / 89

ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। গরমের আগমনের সাথে সাথে আগ্রহ বাড়ছে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার। গরমের তৃষ্ণা মেটাতে ঠাণ্ডা পানির জুড়ি নেই। কিন্তু জানেন কী এই ঠান্ডা পানিই হতে পারে আপনার বড় ক্ষতির কারণ।  

কেন ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিৎ নয়?

* কিছু গবেষকরা জানিয়েছেন, ঠাণ্ডা পানি হার্ট রেট কমিয়ে দিতে পারে। বরফ ঠান্ডা পানি দশম কার্নিয়াল নার্ভকে উত্তেজিত করে। এই নার্ভ হার্ট রেট কমিয়ে দেয়।

* যতই গরম পড়ুন না কেন আয়ুর্বেদে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার ব্যাপারে কড়া নিষেধ রয়েছে। এর ফলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। বিশেষ করে খাবারের সঙ্গে বরফ ঠাণ্ডা পানি বা আইস ড্রিঙ্ক খেলে তা পরিপাকের কাজে বাধা দেয় ও শরীর খারাপ হয়।

* গরম কালে বরফ ঠান্ডা পানি খেলে ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ঠাণ্ডা পানি শ্বাসনালীতে মিউকাস জমতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয়। 

* ওয়ার্কআউট করার পর খুব গরম লাগে। তখন অনেকেই ঠাণ্ডা পানি খেতে চান। কিন্তু ওয়ার্কআউটের পর ঠাণ্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। জিম এক্সপার্টরা ওয়ার্কআউটের পর গরম পানি খেতে বলেন। কারণ এক্সারসাইজের পর শরীর গরম হয়ে যায়। এই সময় বরফ ঠাণ্ডা পানি খেলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে তারতম্যের জন্য পৌষ্টিকনালীতে প্রভাব ফেলে। উপরন্তু, শরীর কিন্তু ঠাণ্ডা পানি শোষণ করতে পারে না। পেটে কষ্টদায়ক যন্ত্রণাও হতে পারে।

* খাওয়ার ঠিক পরেই ঠাণ্ডা পানি খেলে তা খাবারে থাকে ফ্যাট জমিয়ে দিতে পারে। ফলে ফ্যাট হজম হতে বাধা পায় ও শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়। তবে শুধু ঠাণ্ডা পানি নয়, খাওয়ার ঠিক পরই পানি খাওয়া উচিত নয়। অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি খান।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

আগ্রহ বাড়ছে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার

আপডেট টাইম : ০৭:৫০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১

ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। গরমের আগমনের সাথে সাথে আগ্রহ বাড়ছে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার। গরমের তৃষ্ণা মেটাতে ঠাণ্ডা পানির জুড়ি নেই। কিন্তু জানেন কী এই ঠান্ডা পানিই হতে পারে আপনার বড় ক্ষতির কারণ।  

কেন ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিৎ নয়?

* কিছু গবেষকরা জানিয়েছেন, ঠাণ্ডা পানি হার্ট রেট কমিয়ে দিতে পারে। বরফ ঠান্ডা পানি দশম কার্নিয়াল নার্ভকে উত্তেজিত করে। এই নার্ভ হার্ট রেট কমিয়ে দেয়।

* যতই গরম পড়ুন না কেন আয়ুর্বেদে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার ব্যাপারে কড়া নিষেধ রয়েছে। এর ফলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। বিশেষ করে খাবারের সঙ্গে বরফ ঠাণ্ডা পানি বা আইস ড্রিঙ্ক খেলে তা পরিপাকের কাজে বাধা দেয় ও শরীর খারাপ হয়।

* গরম কালে বরফ ঠান্ডা পানি খেলে ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ঠাণ্ডা পানি শ্বাসনালীতে মিউকাস জমতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয়। 

* ওয়ার্কআউট করার পর খুব গরম লাগে। তখন অনেকেই ঠাণ্ডা পানি খেতে চান। কিন্তু ওয়ার্কআউটের পর ঠাণ্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। জিম এক্সপার্টরা ওয়ার্কআউটের পর গরম পানি খেতে বলেন। কারণ এক্সারসাইজের পর শরীর গরম হয়ে যায়। এই সময় বরফ ঠাণ্ডা পানি খেলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে তারতম্যের জন্য পৌষ্টিকনালীতে প্রভাব ফেলে। উপরন্তু, শরীর কিন্তু ঠাণ্ডা পানি শোষণ করতে পারে না। পেটে কষ্টদায়ক যন্ত্রণাও হতে পারে।

* খাওয়ার ঠিক পরেই ঠাণ্ডা পানি খেলে তা খাবারে থাকে ফ্যাট জমিয়ে দিতে পারে। ফলে ফ্যাট হজম হতে বাধা পায় ও শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়। তবে শুধু ঠাণ্ডা পানি নয়, খাওয়ার ঠিক পরই পানি খাওয়া উচিত নয়। অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি খান।

নিউজ লাইট ৭১