স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একগুচ্ছ নাটক নির্মাণ
- আপডেট টাইম : ০৬:৩২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
- / 92
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একগুচ্ছ নাটক নির্মাণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। এরই ধারাবাহিকতায় বিটিভির ঢাকা কেন্দ্রের সভাকক্ষে গত ৯ মার্চ নাটকের পাণ্ডুলিপির বিষয় নির্ধারণে নাট্যকার, নির্মাতা ও নাট্যসংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাটি পরিচালনা করেন বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন, নাট্যকার আতাউর রহমান, এজাজ মুন্না, অনন্ত হীরা, মাসুম রেজা, আজাদ আবুল কালাম, আনজীর লিটন, নাসরীন মুস্তাফা, বৃন্দাবন দাস, আকরাম খান, রশিদুল হক পাশা, রেজানুর রহমান, শফিকুর রহমান শান্তনু। আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিভির উপ মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) ড. তাসমিনা আহমেদ, পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা) জগদীশ এষ, পরিচালক (প্রশাসন) নেছারউদ্দিন জুয়েল, ঢাকা কেন্দ্রের জি.এম নাসির মাহমুদসহ বিটিভির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন স্বাগত বক্তব্য শেষে নাট্যকারদেরকে নাটক বিষয়ক মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নাট্যকার আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম, প্রকৃতির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, চর্যাপদ, বাঙালির ঐতিহ্যকে উপজীব্য করে নাটক নির্মাণে গুরত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও নাটক নির্মাণে নান্দনিকতাকে অগ্রাধিকার প্রদানে আলোচনা করেন।
বিটিভির ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য গুণী নাট্য নির্মাতাদের দিয়ে নাটক নিমার্ণের প্রস্তাব করেন নাট্য নির্মাতা মাসুম রেজা। দেশ, মাটি, মানুষ, প্রকৃতি, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধকে অনুষঙ্গ করে প্রতি মাসে কমপক্ষে ২টি সাপ্তাহিক নাটক নির্মাণে নির্দেশনা প্রত্যাশা করেন অনন্ত হীরা।
নাট্যকার নাসরিন মুস্তফা বলেন বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধসহ ঐতিহাসিক বিষয়ে নাটক, অনুষ্ঠান কোনো বিকৃতি বা গুজব না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রেখে নাটক নির্মাণ করা যেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধের নাটকে দৃশ্যায়ন ও চরিত্রায়ন সঠিকভাবে প্রতিপালনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এজাজ মুন্না। তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধকে সাবলীলভাবে উপস্থাপন করার বিষয়ে আলোচনা করেন। নাট্যকার আনজির লিটন মুক্তিযুদ্ধে শিশু-কিশোরদের ভূমিকা ও তাদের ওপর মুক্তিযুদ্ধের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে নাটক নির্মাণের গুরুত্ব আরোপ করেন।
নাট্যজন আজাদ আবুল কালাম বিটিভির নিজস্ব বাজেট, পরিকল্পনা ও পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১২টি সিনেমা নির্মাণের প্রস্তাব করেন। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বছরব্যাপি ধারাবাহিক (সিরিয়াল) নাটক নির্মাণের সুপারিশ করেন নাট্যব্যক্তিত্ব রেজানুর রহমান।
এছাড়াও সভায় মতামত প্রদান করেন বৃন্দাবন দাশ, আকরাম খান, কাজী রশিদুল হক পাশা, শফিকুর রহমান শান্তনুসহ অনেকে।
বিটিভির পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা) জগদীশ এষ বলেন, নাটক বিটিভির ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে লালন করে নাটককে কীভাবে জনমুখী তথা দর্শকমুখী করা যায় সে বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনার সময় এখনই। সমাপনী বক্তব্যে বিটিভির মহাপরিচালক মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম নাটক-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের দ্বারগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
এছাড়াও তিনি মাদক, জঙ্গী, বাল্যবিবাহসহ নানাবিধ সামাজিক সমস্যার প্রতিকারে নাটকের বিষয় নির্ধারণে আলোচনা করেন। সুস্থ সাংস্কৃতিক চেতনা নির্মাণে নাটকের ভূমিকা নির্ধারণেও গুরত্ব প্রদান করে তিনি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
নিউজ লাইট ৭১