সিউলে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস পালন
- আপডেট টাইম : ০৬:২১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
- / 69
সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস’ পালন করা হয়।
রোববার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঘটিকায় রাষ্ট্রদূত কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সামাজিক দূরত্ব কার্যক্রম অব্যাহত থাকার কারণে শুধুমাত্র দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে ছিল জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ এবং দূতাবাস কর্তৃক কোরিয়ান ভাষায় অনুদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্যের উপর আলোকপাত করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্যের উপর আলোকপাত করতে দূতাবাস দ্বিতীয় পর্বে একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সময় দুপুর ১২টা অনুষ্ঠিত হয়।
অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (অবঃ) সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং তার আলোচনার প্রেক্ষিতে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এশিয়া সেন্টারের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো ইয়ুইয়ুং লি বক্তব্য রাখেন। আলোচনার শুরুতে দূতাবাস কর্তৃক কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তিনি জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা করেন এবং ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির পিতার ভাষণটি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন যে, এই স্বীকৃতি স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী ২ লক্ষ বীরাঙ্গনা এবং শহীদদের ত্যাগের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
এছাড়া, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে দূতাবাস কর্তৃক কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পুস্তিকা ও ভিডিও নির্মাণের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
মুখ্য আলোচক অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি, তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এর প্রভাবের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি তার আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিষয়ে তার ব্যক্তিগত সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ৭ই মার্চ ভাষণের সময় তিনি রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে সে সময়ে তার স্মৃতি চারণ করেন।
ইয়ুইয়ুং লি তার আলোচনায় জাতির পিতার এই ভাষণকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটির বিশ্বজনীনতা এবং মানবিক গুণের কারণেই দেশ-কালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সার্বজনীন হয়েছে এবং বাঙ্গালী ও বিশ্বের মানুষের জীবনে অভূতপূর্ব নতুন মাত্রার সঞ্চার করেছে।
অনুষ্ঠানের তৃতীয় অংশে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অংশগ্রহণে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য বিষয়ক অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতে দূতাবাস কর্তৃক কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিগণ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্যের উপর স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা করেন। জাতির পিতার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।
নিউজ লাইট ৭১